নিহত ইন্সপেক্টর সুবোধ কুমার সিংয়ের মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বজরং নেতা যোগেশ রাজকে গ্রেপ্তার করল পুলিশ।
ইন্সপেক্টর সুবোধ সিংকে খুনের দায়ে মোট ২৭ জনের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। এই তালিকায় বিজেপি যুব মোর্চার সদস্য শিখর আগরওয়াল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য উপেন্দ্র রাঘবের নামও রয়েছে। অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৬০ জনের নাম আছে অভিযুক্ত তালিকায়। গ্রেপ্তার হয়েছে মোট ৪ জন। ধৃত মূল অভিযুক্ত যোগেশ রাজের বিরুদ্ধে খুন এবং খুনের চেষ্টার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ৩০৭ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বুলন্দশহরের ঘটনার পরেই একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের গাড়ির দরজা খোলা। লুটিয়ে পড়ে আছেন সুবোধ। বাম ভুরুর পাশে বুলেটের গভীর ক্ষত। চারিদিকে উত্তাল জনতা ছোটাছুটি করছে। শোনা যাচ্ছে ‘গোলি মারো’ চিৎকার। কিন্তু আশপাশে পুলিশের দেখা নেই।স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
সুবোধ সিংয়ের গাড়ির চালক রাম আশ্রয় জানিয়েছেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ইনস্পেক্টর সাহেবকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি ঘিরে ধরে উন্মত্ত জনতা। তারা পাথর ছুঁড়তে শুরু করে। গুলিও চলছিল। মারমুখী জনতার হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে যান রাম আশ্রয়। প্রশ্ন উঠেছে, আরও দুই পুলিশ কর্মী থাকা স্বত্বেও সুবোধকে বিপদের মুখে একা ফেলে তাঁরা কেন পালিয়ে গেলেন?
ঘটনায় পরিকল্পনামাফিক সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। বিজেপি সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীন ও ভুল নীতির ফলেই উত্তরপ্রদেশে ‘জঙ্গলরাজ’ চলছে’ বলে অভিযোগ করেন বসপা নেত্রী মায়াবতী। কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বালের প্রতিক্রিয়া, ‘অত্যন্ত রহস্যজনক ঘটনা মহম্মদ আখলাক হত্যার তদন্তকারী আধিকারিক খুন হয়েছেন। আর নিজের রাজ্যের খেয়াল না রেখে তেলেঙ্গানায় ঘুরে সাম্প্রদায়িকতা ছড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ’। সমাজবাদী পার্টি টুইটে অভিযোগ করেছে, উত্তরপ্রদেশ জ্বলছে। লজ্জাজনক, দুঃখজনক ঘটনা ঘটছে। ওদিকে মুখ্যমন্ত্রী ও বিজেপির নেতারা অন্য রাজ্যে গিয়ে দেবদেবীর জাতপাত অনুসন্ধান করছেন’।