ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠল পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি। হিন্দু ফ্যাসিবাদ রুখতে গেরিলা আক্রমণের ডাক দিল তারা। গোয়েন্দারা মনে করছে, এক বিপদ আটকাতে আরেক বিপদ হাজির হচ্ছে সমাজে। কারণ, পিএলজিএ শক্তিশালী হওয়ার অর্থ, বিক্ষিপ্তভাবে হানাদারি চলবে। ইতিমধ্যেই পিএলজিএ-র ১৮ বছর পূর্তির বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে রাজ্যে।
প্রসঙ্গত, পিএলজির-র ১৮ বছর পূর্তিতে তাদের কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে বলা হয়েছে, আত্মসমর্পণ চলবে না। একটি বার্তায় বলা হয়েছে, ২০১৭ ও ১৮ সালে দেশজুড়ে ২১ টি ‘যুদ্ধ’ হয়েছে। তাতে ৯০ জন জওয়ান মারা গেছেন। এবং ১৯০ জনের মতো আহত হয়েছেন। এই বার্তা পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসেছে গোয়েন্দা দফতর।
হিন্দু ফ্যাসিবাদ এবং দলিত, আদিবাসী মহিলা এবং বিভিন্ন গোষ্ঠির লোকের ওপর আক্রমণ ঠেকানোর কৌশল বানাতে চলতি নভেম্বরের শুরুতে বৈঠকে বসেছিল পিএলজিএ-র কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক। সেখাএনি বিস্ফোরক বানাতে দক্ষ এবং গেরিলা আক্রমণের কৌশলে সিদ্ধহস্ত বাসবরাজকে সাধারণ সম্পাদক হিসাবে বেছে নেওয়া হয়েছে৷ এই বাসবরাজ বিস্ফোরক বানাতে দক্ষ, গেরিলা আক্রমণের কৌশল বানাতেও সিদ্ধহস্ত। তাই বাসবরাজ সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর ফের মাওবাদী হানার আশঙ্কায় আটঘাট বাঁধছে প্রশাসন।