গােটা দেশের জিডিপি রেট বা সার্বিক উন্নয়ণ যখন প্রায় স্তব্ধ হয়ে গেছে, তখন বাংলা একক প্রচেষ্টায় শিল্পায়ণে শীর্ষে পৌচ্ছেছে। ভেনেজুয়েলা, আর্জেন্টিনা, উরুগুয়ে, পেরু, ব্রাজিল সহ মােট ১৮টি দেশের রাষ্ট্রদূতকে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে আসার আমন্ত্রণ জানালেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।
বৃহস্পতিবার আইসিসি’র সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি রূদ্র চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দক্ষিণ আমেরিকার সঙ্গে বাংলার সম্পর্কের উন্নয়ন নিয়ে আশা প্রকাশ করেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। গত সাড়ে সাত বছরে বাংলায় যে বিপুল শিল্পায়ণের প্রসার ঘটেছে তা সর্বসমক্ষে তুলে ধরলেন বাংলার শিল্প ও অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি বলেন, আমরা আপনাদের সঙ্গে ব্যবসায়ীক সম্পর্কে জড়িত হতে চাই। শিল্পায়ণের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমরা নির্দিষ্ট প্ল্যান অফ অ্যাকশান তৈরি করেছি। আপনাদের সঙ্গে এই বিষয় নিয়ে সংযােগ করতে চাই। আমাদের মধ্যে আগামীদিনে সংস্কৃতিক মেলবন্ধণ গড়ে উঠুক। বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটে আসুন। গতবছর ৫০০জন বিদেশী বাণিজ্যিক অতিথি এসেছেন বিজিবিএস’-এ। এই বছর জার্মানির ডুলসডর্ফ থেকে ৫০ জন বিশিষ্ট গর্ভনর আসছেন। পােল্যান্ড, ইটালি থেকে বিশেষ প্রতিনিধি দল আসছেন।
অমিত মিত্র বলেন, ২০১৪ সালের পর থেকে আমাদের দেশের উন্নয়ন স্তব্ধ হয়ে গেছে। কিন্তু চিন্তা নেই বাংলা আছে। ২০১৪ সালে ৪৬ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য করেছিল ভারত। সেখান থেকে বর্তমানে বহু শতাংশ ব্যবসার পরিমাণ কমে এসেছে। একটা সময় ছিল ব্রাজিল এবং ভারতের মধ্যে ব্যবসার পরিমাণ ছিল ৪৭ শতাংশ। ৯ হাজার স্কোয়ারফিট ইউনিট গড়ে উঠছে বাংলায় বস্ত্র ব্যবসার জন্য। ৩০ হাজার ব্যবসায়ী সেখানে কাজ করতে পারবেন। ৪০ হাজার কর্মচারী নিয়ােগ করেছে টিসিএস। বাংলার ক্যাম্পাস বেঙ্গালুরু থেকেও বেশি। বেঙ্গালুরুতে টিসিএস’র কর্মীরা কাজ ছেড়ে চলে যায়। কগনিজেন্ট আরও ২০ হাজার কর্মী নিয়োগ করবে। এইচএসবিসি প্রধান কার্যালয় করছে বাংলায়। ২৩ হাজার প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে। এই কারণেই বড় বড় সংস্থা গুলি এখানে কাজ করতে আসছে। আইসিসি সহ সকলকে অনুরোধ করলে, প্রতি ক্ষেত্রে আমাদের কাজ গুলিকে দেখুন। টাটা মেটালিক্স তারা বাংলায় আরও বিনিয়ােগ করছেন। বড় শিল্পের সঙ্গে একাধিক অনুসারী শিল্প এসেছে বাংলায়। তিনি বলেন, “আমরা গঠনমূলক সম্পর্ক গড়ে তুলেছি। বাংলার রেট অফ গ্রোথ দেশের থেকে বেশি। ক্যাপিটাল এক্সপেন্ডিচার বেড়েছে ৮ গুণ বেশি। ২০১১ পর থেকে আমরা বাংলার গ্রাম জুড়ে ২০ হাজার কিলোমিটার। দক্ষিণ আমেরিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পৌঁছেচে এখন মূলত নারী উন্নয়ণের ক্ষেত্রে। ভারত সরকার ‘বেটি বাঁচাও-বেটি পড়াও’ প্রকল্পে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর কন্যাশ্রী প্রকল্পে ১২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছেন। ৫০ লক্ষ মেয়েরা এই প্রকল্পের সুবিধা ভােগ করছে। অর্থমন্ত্রীর কথায়,আমাদের রাজ্যে ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু বাস করেন। আমাদের দুর্গাপুজোর প্যাণ্ডেল গুলির অধিকাংশই নির্মাণ করে সংখ্যালঘুকর্মীরা।