বাংলায় সংগঠন চাঙ্গা করতে এবার রাজ্যে প্রধানমন্ত্রীকে দিয়ে ৪টি সভা করার পরিকল্পনা নিল বিজেপি। রথযাত্রা ও প্রধানমন্ত্রীর সভা, এই দুটো সিদ্ধান্তই যে রাজনৈতিক এবং আরও নির্দিষ্টভাবে বললে লোকসভা ভোটকেন্দ্রিক সেটা স্পষ্ট।
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকে এনে বিজেপি যে তৃণমূলকে চাপে ফেলতে চায় সেটাও পরিষ্কার। তবে প্রধানমন্ত্রীকে এই সভা করানোকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে না তৃণমূল। এ ব্যাপারে দলের শীর্ষস্থানীয় নেতা তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘বাংলায় ধর্মনিরপেক্ষতার মাটি অনেক শক্ত। রামমোহন, বিবেকানন্দ, রবীন্দ্রনাথ, নজরুল প্রমুখ মনীষীদের জন্ম এই মাটিতে। এখানে ধর্মের নামে সুড়সুড়ি দিয়ে রাজনীতি করার বৃথা চেষ্টা করছে বিজেপি। বাংলার মাটিতে মোদীকে দিয়ে ৫০০ সভা করেও কোনও লাভ হবে না। বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের সঙ্গে আছেন এবং থাকবেনও’।
৭ ডিসেম্বর কোচবিহারে গড়াবে বিজেপির রথের চাকা। রথযাত্রার সূচনা করবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। রথযাত্রার মাঝে ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে মধ্য জানুয়ারি পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ৪ টি সভা করবেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেডে বিজেপি বিরোধী সমাবেশ করবে তৃণমূল। তার আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে রাজ্যে আনতে চাইছে বিজেপি।
লোকসভা নির্বাচনের আগে বাংলায় রথযাত্রা কর্মসূচিতে একাধিক হেভিওয়েটকে এনে রীতিমত চমক দিতে চাইছে বিজেপি। তাই অমিত শাহের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীকেও আনতে চাইছে তারা। জানা গেছে, রাজ্যে মালদহ, দুর্গাপুর, কৃষ্ণনগর ও শিলিগুড়ি বা জলপাইগুড়িতে জনসভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সভার দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি।