সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নে ঢিলেমি, জয়পুরের রাজ পরিবারকে প্রাপ্য সম্মান না দেওয়া, ‘পদ্মাবত’ দেখানো রুখতে কড়া না হওয়া – রাজস্থানবাসীর কাছে বিজেপির মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার ব্যার্থতার তালিকাটা এর চেয়েও লম্বা। দলের অন্দরেও সমর্থন হারিয়েছেন বসুন্ধরা। খোদ বিজেপি কর্মীরাই তাঁর ওপর বেজায় চটে। তাদের মুখে মুখে এখন ঘুরছে একটাই স্লোগান, ‘মোদীর সঙ্গে ঝগড়া নেই, কিন্তু বসুন্ধরার রক্ষা নেই’।
যদিও মোদী-শাহরা এমন স্লোগানে খুশি হতে পারছেন না মোটেই। তাঁরাও বসুন্ধরাকে সরানোর কম চেষ্টা করেননি। কিন্তু বসুন্ধরা রাজি হননি। এদিকে লোকসভা ভোটের আগে এক-একটা রাজ্য হারানো মানে বড় ধাক্কা। তাই প্রচার অভিযানের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন অমিত শাহ। অবস্থা বেগতিক বুঝে রাজস্থানে প্রচারে আসছেন খোদ মোদী।
বলা হয়, রাজস্থানের মানুষের নাকি রাখঢাক নেই। রাজনৈতিক মত বলেন সোজাসাপ্টা। তাই রাজস্থানের মাটিতে পা রাখলেই আমজনতা শুনিয়ে দিচ্ছেন ‘ইসবার কংগ্রেস আয়েগি’। যোধপুর, জয়পুর, আজমেঢ়, পুষ্কর, কোটা, বিকানির, জয়সলমির, আলোয়ার, ভরতপুর, স্বীকার বা ঝালওয়ার – সর্বত্র যতটা না কংগ্রসের প্রতি প্রেম, তার চেয়ে ঢের ঢের বেশী বিজেপির ওপর ক্ষোভ। আবার সেই বিজেপি যতটা না মোদী-শাহের, তার চেয়ে বেশী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়ার বিজেপি।
সব মিলিয়ে, মোদী-শাহ যতই চেষ্টা করুন, রাজস্থানে বিজেপির ভরাডুবি আটকানো যাচ্ছে না।