‘কেন দুই জেলা নেতকে কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে?’ এই নিয়ে বিবাদেই ভেস্তে গেল বিজেপির রথযাত্রার প্রস্তুতি সভা। বিবাদে শুধু হৈ-হট্টগোল, চিৎকার-চেঁচামেচি নয় বিজেপি নেতারা জড়িয়ে পড়েন ধাক্কাধাক্কি, মারামারিতেও। শেষে ঝগড়া আড়াল করতে বন্ধ করে দেওয়া হল সভাগৃহের দরজা, খুলে নেওয়ায় হল মাইক। বন্ধ ঘরেই ঘণ্টাখানেক ধরে চলল চরম বিশৃঙ্খলা। সেই কোন্দলের জেরে ভেস্তে গেল বিজেপির রথযাত্রার প্রস্তুতিসভা।
৫ ডিসেম্বরের বদলে ১৪ ডিসেম্বর বীরভূমে রথযাত্রা করবে বিজেপি। এই রথযাত্রা কর্মসূচির সফল রূপায়ণের লক্ষ্যে সিউড়ির রামকৃষ্ণ সভাগৃহে দলের জেলাস্তরের জরুরি সভা ডেকেছিলেন জেলা বিজেপি সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়। ছিলেন কলকাতা থেকে আসা বীরভূম লোকসভা কেন্দ্রের ‘পালক’ রণদেব মজুমদার ও দলের জাতীয় পরিষদের সদস্য তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি নির্মল মণ্ডল। সভার শুরুতেই বিজেপি–র সহ–সভাপতি শুভাশিস চৌধুরি দলের জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়কে জিজ্ঞাসা করেন, দলের গুরুত্বপূর্ণ রথযাত্রা কর্মসূচির ঠিক আগে জেলা কমিটির বৈঠকে কোনওরকম আলোচনা না করেই কেন দলের ২ গুরুত্বপূর্ণ জেলাস্তরের নেতা অনিল সিং ও নারায়ণচন্দ্র মণ্ডলকে জেলা কমিটি থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে? জেলা সভাপতি বলেন, দলের রাজ্য নেতৃত্বের অনুমোদন নিয়েই তিনি এটা করেছেন। জেলা সভাপতি হিসেবে তিনি এমনটা করতেই পারেন। জেলা সভাপতির এই বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে সভার মধ্যে রীতিমতো হৈ–হট্টগোল বাধিয়ে দেন দলের নেতারা।
সূত্রের খবর, জেলা সভাপতির সামনেই কয়েকজন নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কিতে জড়িয়ে পড়েন। জেলা সভাপতি অবশ্য হাতাহাতির কথা স্বীকার করেননি। তাঁর দাবি, ‘চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে পরিবেশ নষ্ট করে এদিনের সভা ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেন মূলত দলের জেলাস্তরের ৪ সদস্য। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠের প্রচেষ্টায় সভায় শেষ পর্যন্ত শান্তি ফিরে আসে এবং রথযাত্রার প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকও হয়।’