পাঁচ গোলের থ্রিলার শেষে নিজেদের দোষে লিগের লাস্ট বয় আইজলের কাছে হার ইস্টবেঙ্গলের৷ লাল-হলুদের বিরুদ্ধে ডোডোজরা ম্যাচ জিতল ৩-২ ব্যবধানে৷
লিগে ইতিমধ্যেই শেষ মুহূর্তের গোলে বাগানের জয় থামিয়ে দিয়ছিল ডেভিডরা৷ এবারও শেষ দিকে বাজিমাত৷ নিজেদের মাঠে ম্যাচ শেষের পাঁচ মিনিটে আগে জয়সূচক গোল করে লাল-হলুদকে মাটি ধরালো আইজল৷ নিশ্চিত গোল পেল না ইস্টবেঙ্গল। প্রশ্ন উঠে গেল আই লিগের রেফারিং কোয়ালিটি নিয়ে। রেফারির বদান্যতায় আইজলের পাহাড় থেকে শূন্য হাতে ফিরতে হচ্ছে ইস্টবেঙ্গলকে।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ, প্রতিআক্রমণে ঝড় তুলতে শুরু করে দুই দল৷ ২৬ মিনিটে এরপর ম্যাচের প্রথম গোল ডেডোজের পা থেকে৷ বক্সের মধ্যে ক্রোমার পাস গোল মুখে খুলেছিল৷ সেই পাস লালরিনফেলার পা হয়ে ফিরতি বলে ডেডোজের গোল৷ প্রথম চেষ্টায় লালরিনফেলার শট আটকে দিলেও পরেরবার লাল-হলুদের তেকাঠি রক্ষা করতে পারেননি উবেইদ৷ প্রথমার্ধে স্কোরলাইন ১-০ রেখে মাঠ ছাড়ে আইজল৷ বিরতির কিছু আগে অবশ্য লাইন্সম্যানের ভুলে নিশ্চিত গোল বাতিল হয় ইস্টবেঙ্গলের৷
দ্বিতীয়ার্ধে এরপর টান-টান উত্তেজনা৷ ৬৩ মিনিটে ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল শোধ জবির৷ চুলোভার সেন্টারে মাথা ঠেকিয়ে গোল লাল-হলুদ স্ট্রাইকারের৷ মিনিট আটেকের মধ্যেই লাল-হলুদের হয়ে স্কোরলাইন ২-১ করেন বোরহা(৭০মিনিট)৷ চুলোভার কর্ণার এনরিকে, কাশিমের পা হয়ে বোরহার পায়ে পড়তেই জাল কাঁপিয়ে দেন লাল-হলুদের বিদেশি৷
২-১ এগিয়ে গিয়েও শেষ পর্যন্ত অবশ্য লিড ধরে পারেনি ইস্টবেঙ্গল৷ দুর্বল ডিফেন্সের সুযোগ নিয়ে ২ মিনিটের মধ্যেই আইজলকে ম্যাচে ফিরিয়ে লড়াই জিয়ে রাখেন জোহরিলানা। শেষ বাঁশি বাজার পাঁচ মিনিট আগে এরপর জয় সূচক গোল করে আইজলকে তিন পয়েন্ট এন দেন লালখামপুইয়া(৮৪মি)।
ঘরের মাঠে চেন্নাইয়ে পর এবার পাহাড়ে আইজলের কাছে হারে চাপ বাড়ল ইস্টবেঙ্গলের৷ চার ম্যাচে দুটি জয় ও দুটিতে হেরে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় চার নম্বরে রয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেড৷ অন্যদিকে এনরিকেদের হারিয়ে ১১ থেকে এক ধাক্কায় ৮ নম্বরে উঠে এল আইজল৷
ঘরের মাঠে ৪ ডিসেম্বর মিনার্ভা পঞ্জাবের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে ইস্টবেঙ্গল ৷