এই পঁয়ত্রিশেও রিংয়ের ভেতর তিনি বাঘিনির মতোই ক্ষিপ্র। চোখের পলকে ঘাড় ভাঙতে পাড়েন শিকারের।ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপ জিতে সেটাই আরও একবার প্রমান করলেন ভারতের সোনার মেয়ে ম্যাগনিফিসেন্ট মেরি। সেই সঙ্গে ছুঁয়ে ফেললেন কিউবার কিংবদন্তি বক্সার ফেলিক্স স্যাভনকে।
তৃতীয় রাউন্ড শেষেই জয়ের স্বাদ পেয়ে গিয়েছিলেন। প্রতিপক্ষ ছিলেন ইউক্রেনের হান্না ওখোটা কার্যত দাড়াতেই দিলেন না মেরি। রক্তের স্বাদ পাওয়া বাঘিনির মতোই ঘুরে বেড়ালেন রিংয়ের ভেতর। কাট আর আপার পাঞ্চে ভরিয়ে দিলেন শক্তিশালী প্রতিপক্ষ ইউক্রেনের হানা ওখোটাকে। ৪৮ কেজি লাইটওয়েট বিভাগে ৫-০তে ধরাশায়ী করে জিতে নিলেন খেতাব।
নিজের রিফ্লেক্স, অভিজ্ঞতা আর বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক পয়েন্ট তুলেছেন। যত সময় গড়িয়েছে জয় আরও কাছে এসেছে। তবে এই জয়ের পেছনে আছে দীর্ঘ আট বছরের পরিশ্রমের গল্প। আট বছর আগে শেষবার ব্রিজটাউনে পেয়েছিলেন এই খেতাব। তারপর এ বার ঘরের মাঠে ঘরের সমর্থকদের সামনে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের খেতাব পেলেন মেরি।
২০০২ সালে আন্টালিয়াতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়ে শুরু হয়েছিল এই যাত্রা। তারপর একে একে ২০০৫ সালে পডলস্ক, ২০০৬ সালে দিল্লি, ২০০৮ সালে লিংবো, ২০১০ সালে ব্রিজটাউন। তারপর দীর্ঘ ৮ বছর কোনও পদক ঘরে তুলতে পারেন নি মেরি। তারপর এ বার ঘরের মাঠে ঘরের সমর্থকদের সামনে বিশ্বচ্যাম্পিয়নের খেতাব পেলেন সোনার মেয়ে।
এই নিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে মোট ৭ টি পদক হয়ে গেল তাঁর। তারমধ্যে ৬ টি সোনা ও ১ টি ব্রোঞ্জ রয়েছে। তাঁর পরে রয়েছেন আইরিশ বক্সার কেটি টেলর। তাঁর রয়েছে ৬ টি পদক।