মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যের রাস্তাঘাট, স্কুল-কলেজের পাশাপাশি গ্রামগুলিরও অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে। রাজ্য সরকারের আর্থিক সহযোগিতায় সমৃদ্ধ হয়ে এ রাজ্যের কুটিরশিল্প এখন পাড়ি দিচ্ছে বিদেশেও। বাংলার গ্রামে গ্রামে আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে পড়া পরিবারগুলিও ইদানীং কুটিরশিল্পের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে সক্ষম হচ্ছে। শুক্রবার বর্ধমানের উৎসব ময়দানে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য হস্তশিল্প মেলার উদ্বোধন করে এমনই জানালেন শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে শ্রমমন্ত্রী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ, সভাধিপতি শম্পা ধাড়া, জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব প্রমুখ।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘গ্রামের মূল রোজগারের উৎস হচ্ছে কুটিরশিল্প। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে এই কুটিরশিল্প জেলা-রাজ্য-দেশ নয় বিদেশেও পাড়ি দিচ্ছে। তাই বিগত ৭ বছরে রাজ্যে শুধুমাত্র রাস্তাঘাটের পরিবর্তন হয়েছে বা স্কুল-কলেজ হয়েছে তা নয়, গ্রামগুলির অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে। অর্থাৎ গ্রামের মানুষের রোজগার যে কত গুণ বেড়েছে তা পরিসংখ্যান দেখলেই বুঝতে পারবেন। এই দপ্তরের একটি নথি থেকে দেখা গেল, ৫ লক্ষ ৬৮ হাজার কুটির শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষকে তারা পরিচয়পত্র দিয়েছে।’
অন্যদিকে, মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, ‘গ্রামের মানুষের সবচেয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ এই ক্ষুদ্র এবং ছোট শিল্প। ছোট ছোট শিল্পগুলোকে আরও বেশি করে যদি এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় তাহলে বেশি মানুষের কর্মসংস্থান হবে। অথচ অনেকেই এই মেলা নিয়ে কটাক্ষ করে থাকেন। কিন্তু এই মেলার সার্থকতা তো এখানেই যে, শিল্পীরা তাঁদের উৎপাদিত জিনিস বিক্রি করার একটা জায়গা পেল। এবং তা সম্পূর্ণ সরকারি উদ্যোগেই। এই মেলায় এখনও পর্যন্ত ১২০০ শিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন। মেলা চলবে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।