‘অফ দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য পিপল’ – এটাই মুখ্যমন্ত্রীর মন্ত্র। আমিও আগামী দিনে এই তিন মন্ত্রের ওপর জোর দিয়ে কাজ করতে চাই’। উত্তীর্ণতে নতুন মেয়র ঘোষণার হওয়ার পর এই মন্তব্য করেন ফিরহাদ হাকিম। বলেন, ‘যে আস্থা আমার উপরে দিদি রাখলেন, তার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি দিদির আস্থার মর্যাদা রাখব। আমি দলের কাছেও কৃতজ্ঞ’।
পদত্যাগী মেয়রের প্রতি শ্রদ্ধা ঝড়ে পড়ল নতুন মেয়রের কথায়। বললেন, ‘শোভন আমার দীর্ঘদিনের বন্ধু। আমার আশা, ও আবার কাজে ফিরে আসবে’। এর সঙ্গেই জানিয়ে দিলেন কলকাতা নিয়ে নিজের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার কথা। বলেন, ‘আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল, জলের সমস্যার সমাধান করা। সেটাকেই আমি আগে দেখব’।
২০০০ সাল থেকে টানা তিনবার কাউন্সিলার। ২০০৫ সালে ৯ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান। ২০০৯ সালে আলিপুর বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে জয়। ২০১০ সালে তৃণমূল কলকাতা পুরবোর্ড দখল করলে সড়ক বিভাগের মেয়র পরিষদ সদস্য হন তিনি। পরে অবশ্য রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় এলে তিনি ওই পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে মন্ত্রিসভায় যোগ দেন। এদিন সেই অতীতের প্রসঙ্গগুলি তুলে আনলেন নিজের বক্তব্যে। কলকাতা পুরবোর্ড তৃণমূল দখল করার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্থির করেছিলেন, শহরকে সুন্দরভাবে সাজিয়ে তুলবেন। সেই প্রসঙ্গ টেনে ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘আমরা সবাই চাই, কলকাতা সুন্দরভাবে চলুক। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় মানুষের কথা ভাবেন। তাঁদের সুখ-সুবিধার কথা ভাবেন। উনি যা দায়িত্ব আমাকে দিয়েছেন, তা সম্পূর্ণভাবে পালন করার চেষ্টা করব। দিদি শুধু কাজটাই চান। আর সেই জন্য এই সিদ্ধান্ত। সেটাই মনপ্রাণ দিয়ে করার চেষ্টা করব। তিনি বলেন, আমি যখন মন্ত্রী হিসেবে ভূমিকা পালন করব, তখন মন্ত্রিত্বের রোল, আবার যখন মেয়রের চেয়ারে বসব, তখন মহানাগরিকের ভূমিকাই পালন করব’।