সরকারি মেডিকেল কলেজগুলিতে ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পালা শেষ। সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ কমাতে এবার থেকে অনলাইনেই দেওয়া হবে আউটডোর টিকিট।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও রাজ্যে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। তিনি সব ধরনের সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবা বিনামূল্যে করে দেওয়ায়, সরকারি হাসপাতালগুলোয় বিনামূল্যেই চিকিৎসার সুযোগ পাচ্ছেন আপামর রাজ্যবাসী। এমনকি বিনামূল্যেই মিলছে যাবতীয় ওষুধপত্র। ফলে খরচের চিন্তা না থাকায়, হাসপাতালে আগত রোগীর সংখ্যা আরও বেড়েছে।
কিন্তু মেডিকেল কলেজ হোক বা পিজি হাসপাতাল, অথবা এনআরএস কিংবা আরজিকর, সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ডাক্তার দেখাতে লাইনে দাঁড়িয়েই কেটে অর্ধেক সময়। প্রথমে টিকিট কাটা, তারপর সেই টিকিটের এন্ট্রি, তারপর ডাক্তার দেখানোর লাইন, সব মিলিয়ে চার-পাঁচ ঘণ্টার কম নয়!
এই ভিড় নিয়ন্ত্রণ এবং সরকারি ব্যবস্থাকে আধুনিক করতেই এবার রাজ্যের সব মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোর টিকিট অনলাইনে কাটার ব্যবস্থা চালু করছে স্বাস্থ্য দফতর। এই পরিষেবার জন্য সমস্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আউটডোরে অনলাইন টিকিট স্ক্যানার বসানো হবে।
দফতর সূত্রের খবর, সর্বপ্রথম এই পরিষেবা চালু হচ্ছে রাজ্যের এক নম্বর সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল পিজিতে। তারপর ধাপে ধাপে অন্যান্য মেডিক্যালগুলিতেও তা চালু হবে। পিজি’র সেন্ট্রাল আউটডোর টিকিট করার জায়গায় ১০টি কাউন্টার রয়েছে। তার একটিতে এই অনলাইন টিকিট স্ক্যানিং হবে। উল্লেখ্য, অনলাইনে আউটডোর টিকিট কাটতে দুই টাকা বা অন্য কোনও খরচই লাগবে না। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে এই ব্যবস্থা।
জানা গেছে, স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইট www.wbhealth.gov.in-এ এই আউটডোর টিকিট কাটার জন্য একটি অংশ থাকবে। যিনি অনলাইনে আউটডোর টিকিট কাটতে চান, তিনি এই ওয়েবসাইটের ওই অংশে গিয়ে বিনা পয়সায় টিকিট কেটে নেবেন। অনলাইন টিকিট নিয়ে হাসপাতালের আউটডোরে এসে, আউটডোরের টিকিট স্ক্যানারে টিকিট স্ক্যান করে নিলেই তা ‘এন্ট্রি’ হয়ে যাবে। এইবার সেই রোগীকে ডাক্তার দেখানোর জন্য একটি নম্বর দেওয়া হবে। সেই নম্বরের ডাক এলেই মিলবে ডাক্তার দেখানোর সুযোগ।