‘আচ্ছে দিন’-এর গুঁতোয় আবারও ধাক্কা খেতে চলেছে দেশের অর্থনীতি। কারণ নতুন বছরের শুরুতেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে একাধিক এটিএম৷ রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, সঠিক পরিষেবা দিতে না পারা এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্কের নানা বিধি নিষেধের ফলে খরচের বহর বাড়ছে রোজই৷ এসব ঝামেলার জেরেই ২০১৯-এর মার্চের মধ্যে দেশের ৫০ শতাংশ এটিএম বন্ধ হতে পারে বলে বুধবার সতর্ক করল কনফেডারেশন অফ এটিএম ইন্ডাস্ট্রি (সিএটিএমআই)।
সিএটিএমআইয়ের ডিরেক্টর ভি বালসুব্রহ্মণ্যম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার অন্তর্ভুক্ত বহু মানুষ এটিএমের মাধ্যমেই তাঁদের ভর্তুকির টাকা তোলেন। সম্প্রতি এটিএম হার্ডওয়্যার-সফটওয়্যার আপগ্রেড এবং এটিএমে টাকা ভরা সংক্রান্ত নয়া বিধি চালু করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। তাতে খরচ আগের থেকে অনেকটাই বাড়ছে। তাই এমন পদক্ষেপে বাধ্য হচ্ছে সিএটিএমআই।’
তিনি আরও বলেন, দেশ জুড়ে প্রায় ২ লক্ষ ৩৮ হাজার এটিএম রয়েছে। যার মধ্যে ব্যাঙ্ক লাগোয়া নয় এমন ১ লক্ষ এটিএম এবং ১৫ হাজারের বেশি হোয়াইট লেবেল এটিএম (ব্যাঙ্ক ছাড়া অন্য আর্থিক সংস্থার এটিএম) পরিষেবা বন্ধ হয়ে যেতে পারে বছরের শুরুতেই।
আরবিআইয়ের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২০১৯-র ফেব্রুয়ারি থেকে এটিএম পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার বার্ষিক লেনদেন কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা হতে হবে, সংস্থার হাতে ৩০০টি স্বয়ংসম্পূর্ণ ক্যাশ ভ্যান থাকবে। প্রতিটি ভ্যানের জন্য দু’জন করে সশস্ত্র রক্ষী এবং রক্ষক (কাস্টডিয়ান) থাকবে। গাড়িতে জিপিএস, সিসিটিভি থাকাও বাধ্যতামূলক।
ফলে সমস্যায় পড়েছে এটিএম পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলি। তাদের মতে, এত কিছু মানলে খরচের পরিমাণ হবে অনেক। তাই এই মুহূর্তে এটিএম পরিষেবা বন্ধ করা ছাড়া অন্য উপায় নেই তাদের। কিন্তু একসঙ্গে এতগুলি এটিএম বন্ধ হয়ে গেলে টাকাপয়সা তোলার ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষ সমস্যায় পড়বেন। পাশাপাশি চাকরি হারাবেন বহু মানুষ। ফলে দেশের অর্থনীতিরও বেহাল অবস্থা হবে।