শবরদের মৃত্যুর কারণ অনাহার নয়। অতিরিক্ত মদ্যপান এবং অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণেই এই মৃত্যু। বিধানসভায় বিবৃতি দিয়ে এভাবেই বিরোধিদের অভিযোগের জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
পাশপাশি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মৃত ৭ শবরের প্রত্যেকেরই রেশন কার্ড ছিল। তাই মৃত্যুর কারণ কখনওই অনাহার হতে পারে না। শবরদের এই মৃত্যু নিয়ে আসলে বিরোধীরা রাজনীতি করছে। ৭ শবরের মধ্যে ২ জন বার্ধক্যজনিত কারণে এবং বাকিরা অতিরিক্ত মদ্যপানের ফলে অসুস্থ হয়ে মারা গিয়েছেন।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারে আসার পরই জঙ্গলমহলকে শান্ত করতে সমান্তরালভাবে দুটি কর্মসূচি নিয়েছিলেন। এক, পুলিশ দিয়ে মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান। দুই, জঙ্গলমহলের মানুষের জীবন-যাত্রার মানোন্নয়নে নানান সরকারি কর্মসূচি। কারণ, মমতা এটা ভালই জানতেন, জঙ্গলমহলের মানুষের অভাব, অনুন্নয়নকে পুঁজি করেই সেখানে নিজেদের সংগঠনের ভিত শক্ত করেছিল মাওবাদীরা।
প্রসঙ্গত, জঙ্গলমহলে সাত শবরের মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় রাজ্য রাজনীতিতে। বিরোধী দলগুলি ভিড় করতে থাকে আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামগুলিতে। প্রথম দিন থেকেই পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৎপর হয় জেলা প্রশাসন। জেলা শাসক আয়েষা রানি নিজে যান গ্রামগুলিতে। পুলিশ এবং আবগারি দফতর যৌথ উদ্যোগে লালগড় ব্লকের ২০টি গ্রামে বেআইনি মদের ভাটি ভাঙার অভিযানে নামে।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর বিবৃতির প্রতিবাদে বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন বাম ও কংগ্রেসের বিধায়কেরা। আগামী ২ দিন বিধানসভার অধিবেশন বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।