ক্ষমতায় আসার পরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, শিল্প ও কৃষির মধ্যে কোনও বিরোধ নেই। তিনি শিল্প এবং কৃষি, দুটি ক্ষেত্রেই সমান নজর দেবেন। তাই শিল্পের মতো কৃষিক্ষেত্রেও এখন উন্নয়নের জোয়ার রাজ্যে। জানা গেছে, ২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষে রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হল ১ কোটি ৮৫ লক্ষ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন।
সোমবার বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়ক সমীর জানার প্রশ্নের উত্তরে কৃষিমন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ২০১৪-১৫ সালে আমাদের রাজ্যে সর্বাধিক খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছিল। তার পরিমাণ হল, ১ কোটি ৭৭ লক্ষ ৬৩ হাজার ২১৯ মেট্রিক টন। আর চলতি আর্থিক বর্ষে রাজ্যে খাদ্যশস্য উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা হল ১ কোটি ৮৫ লক্ষ ৮৭ হাজার মেট্রিক টন।
তিনি জানান, রাজ্য সরকার খাদ্যশস্য উৎপাদনের জন্য নানা ধরনের প্রকল্প রূপায়ণ করেছে। পাশাপাশি, পর্যাপ্ত পরিমাণে সার, উন্নত বীজ, সেচ, কৃষি যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য উপকরণও সঠিক সময়ে কৃষকদের সরবরাহ করা হচ্ছে। এর ফলে খাদ্যশস্য উৎপাদনে কয়েক বছর ধরেই দেশের মধ্যে এক নম্বর স্থানে রয়েছে বাংলা। এই কারণে আমরা কৃষিকর্মণ পুরস্কারও পেয়েছি।
মন্ত্রী আরও জানান, সাধারণত ১ জুলাই থেকে পরবর্তী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত ওই বছরের কৃষিবর্ষ ধরা হয়। কৃষি দফতরের হিসেব অনুযায়ী, ২০১৪-১৫ কৃষিবর্ষে সবচেয়ে বেশি খাদ্যশস্য উৎপাদিত হয়- ১,৭৭,৬৩২১৯ মেট্রিক টন। ২০১৫-১৬ কৃষিবর্ষে খাদ্যশস্য উৎপাদন হয় ১,৭৬,৭১৭৩৩ মেট্রিক টন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে কৃষকদের আয়ও তিনগুণ বেড়েছে। ২০১০-১১ সালে কৃষকদের আয় ছিল বছরে ৯১ হাজার টাকা। ২০১৫-১৬ তে তা বেড়ে হয়েছে, ২ লক্ষ ৩৯ হাজার ১২৩ টাকা।
সিপিএম বিধায়ক আনিসুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, ফসলে ছত্রাক ধরে যাওয়ায় কোচবিহার, মালদহ, দক্ষিণ দিনাজপুর, নদীয়া, উত্তর ২৪ পরগনায় দু’বছরের জন্য গম চাষ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তার পরিবর্তে ওই জেলাগুলিতে মুগ, মুসুর, ছোলা, মটর, মাসকলাই, ভুট্টো, সর্ষে, চিনাবাদাম প্রভৃতি বিকল্প চাষের জন্য বিনা পয়সায় বীজ দেওয়া হচ্ছে।