বাংলার মাটিতে ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা বরদাস্ত করবে না রাজ্য। এবার সাম্প্রদায়িক বিজেপির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামার ডাক দিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরি এবার প্রায় ৫০ হাজার ভোটে হারবেন বলে জানিয়ে দিলেন মুর্শিদাবাদ তৃণমূলের পর্যবেক্ষক শুভেন্দু।
গতকাল তিনি বহরমপুরের নওদা ও রেজিনগর এই দুই বিধানসভায় জনসভা করেন। শুভেন্দু ছাড়াও হাজির ছিলেন জেলা সভাপতি সুব্রত সাহা, সভাধিপতি মোশারফ হোসেন প্রমুখ।
জনসভায় বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘২ দিন আগে বাংলার নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ২০১৯-এ বিজেপিকে ফিনিশ করতেই হবে। দিল্লি থেকে তাদের না সরালে দেশের সর্বনাশ। আর নেত্রী চান না বাংলায়ও বিজেপির কোনও ঠাঁই হোক। ওদের কাজই শুধু মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করা। ওরা কোনও ভাল কাজ তো করেই না। বরং নোটবাতিল, জিএসটির মতো অকাজ করে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়িয়েছে। ওরা আমাদের রাজ্যেরও নানা প্রকল্পের টাকা আটকে দিচ্ছে। তাই বিজেপিকে ফিনিশ করতেই হবে।’
অধীরকে আক্রমণ করে শুভেন্দুর বলেন, ‘অধীর রাতের অন্ধকারে বিজেপিকে মুর্শিদাবাদে ঠাঁই করে দিচ্ছে। বিজেপির সংগঠন যাতে শক্তিশালী হয় তার জন্যই তিনি সর্বদা চেষ্টা করে যাচ্ছেন।’ পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, ‘অধীর উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ যোগীর বাড়ি গিয়ে দুপুরের খাবার খাচ্ছেন। তিনি আসলে রেজিনগরের হুমায়ুন কবিরকে বিজেপিতে পাঠিয়ে নিজের রাস্তা পোক্ত করছেন। অধীরকে বিশ্বাস করবেন না আপনারা। বিজেপিতে যাওয়ার সব পথই খোলা রেখেছেন তিনি।’
সাংসদ তহবিলের টাকা নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি শুভেন্দু। তাঁর প্রশ্ন, ‘বছরের পর বছর ধরে বহরমপুরের সাংসদ থেকেও কী কাজ করেছেন উনি? সাংসদ কোটার সমস্ত টাকা কোথায় গেল? মুখ্যমন্ত্রীই তো বহরমপুরে মেডিক্যাল কলেজ করেছেন। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরির বিলও পাশ হয়ে গিয়েছে। তাহলে এখানে অধীরের ভূমিকা কী?’
তিনি আরও বলেন, ‘দিল্লির কংগ্রেস নেতৃত্ব তৃণমূলের সঙ্গে জোট করার জন্য আমাদের নেত্রীর সঙ্গে বারবার কথা বলছেন। আর অধীর দু’দিন আগে বলেছেন, তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপি বিরোধী জোট করলে তিনি তাঁর দলের সেই সিদ্ধান্ত মানবেন না। তাই কমপক্ষে ৫০ হাজার ভোটে হারাতে হবে বাংলার শত্রু এবং উত্তরপ্রদেশের যোগীর বন্ধু অধীরকে।’