কাশ্মীরে মোহনবাগানকে নিয়ে উৎসাহ তুঙ্গে। রবিবার দুপুরে মূল স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিস করতে গিয়েছিলেন ফুটবলাররা। মাঠে নামতেই প্রচুর দর্শক ভিড় জমতে শুরু করে। যখনই সোনি, ডিকাদের পায়ে বল গিয়েছে, তখনই চিৎকারের মাত্রা বেড়েছে।
মোহনবাগানের প্রাক্তন দুই ফুটবলার আব্দুল মজিদ ও ইসফাক আহমেদ এসেছিলেন ফুটবলারদের উৎসাহ দিতে। সোনি, শিল্টনদের সঙ্গে খানিকক্ষণ সময়ও কাটান তাঁরা। দলের সঙ্গে গিয়েছেন সহ-সচিব সৃঞ্জয় বোস। ইসফাকরা বেশ কিছুক্ষণ তাঁর সঙ্গেও আড্ডা দেন। সব মিলিয়ে আই লিগে রিয়েল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে মাঠে বল গড়ানোর আগে বেশ ফুরফুরে মেজাজে গোটা শিবির। টিম ম্যানেজমেন্টের এক সদস্য বলছিলেন, “কলকাতা থেকে আসার আগে কাশ্মীর নিয়ে মনের মধ্যে একটা ভয় ছিল। এখানে আসার পর সেসব মুছে গিয়েছে। এখানকার পরিবেশ পরিস্থিতি দেখে চমকে যাচ্ছি। মানছি, বন্দুকধারীরা রাস্তায় টহল দিচ্ছে। তার মানে এই নয়, আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। ভয় বলে তো কিছু নেই-ই। বরং তার চেয়ে বড় ব্যাপার হল, ফুটবল নিয়ে এখানে মানুষদের আগ্রহ তুঙ্গে। প্র্যাকটিস দেখতে যেভাবে সমর্থকদের ঢল নেমেছিল, জানি না ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামের ছবিটা কেমন হবে।”
যে স্টেডিয়ামে ম্যাচ হবে রবিবার সেখানেই প্র্যাকটিস করেন শিল্টনরা। একটাই মাঠ। তাই সেখানে প্র্যাকটিস করা ছাড়া উপায় নেই। কৃত্রিম ঘাসের মাঠ। মাঠ নিয়ে অবশ্য কোনও অভিযোগ নেই মোহনবাগান কোচ শংকরলাল চক্রবর্তীর। কিন্তু উচ্চতা কি ফ্যাক্টর হতে পারে? প্রথম দিনের প্র্যাকটিসের পর কেমন দেখলেন? টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্য বললেন, “তেমন উচ্চতা নয়। স্বাভাবিকই তো মনে হল। ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেও বুঝলাম তাদের একই মত।” ঠান্ডা নিয়েও মাথাব্যথা নেই বাগানে। পাহাড়ি জায়গা। কখন পরিবেশ পালটাবে কেউ জানে না। কিছুদিন আগে বরফ পড়ছিল। আবার আগামিকাল বরফ পড়বে কিনা কেউ জানে না।
এদিকে গত দুটো ম্যাচের মতোই রিয়েল কাশ্মীরের বিরুদ্ধে যে সোনি নর্ডিকে পরে ব্যবহার করা হবে, তা একপ্রকার নিশ্চিত। টিম ম্যানেজমেন্টের সদস্যের কথায়, “শংকরদা উইনিং কম্বিনেশন ভাঙবেন বলে মনে হয় না। তাই শুরুতে সোনির নামার সম্ভাবনা কম। আসলে পুরো ফিট না হওয়া পর্যন্ত সোনিকে নিয়ে বাড়তি ঝুঁকি নিতে নারাজ আমাদের কোচ।”