মৃত্যু হয়েছে অনিয়মিত জীবনযাপনের কারণেই। কিন্তু গতকাল সমবেদনা দেওয়ার নামে ‘রাজনীতি’ করতে লালগড় পৌঁছে গেলেন বিজেপির রাজ্য নেতারা। তবে আখেরে কোনও লাভই হল না তাতে। বরং এমন বিক্ষোভের মুখে পড়তে হতে পারে, তার বিন্দুমাত্রও আঁচ করতে পারেননি বিজেপির প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
শুক্রবার রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু ও কেন্দ্রের যুব মোর্চার প্রাক্তন সভাপতি তথা গুজরাট বিজেপির সম্পাদক অমিত ঠক্করের নেতৃত্বে বিজেপির ওই প্রতিনিধি দল লালগড়ের পূর্ণপাণি গ্রামে মৃত শবর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে যায়। তবে মৃত্যুর খবর নিয়ে এত হইচই চাননি পূর্ণপাণি গ্রামের বাসিন্দারা। তাই মৃত্যুর ৪ দিন পরেও একই কাসুন্দি ঘাটতে আসার জন্য শবর মহল্লা কার্যত প্রত্যাখ্যান করল তাঁদের।
প্রতিনিধি দলটিতে রাজ্য ও জেলা মিলিয়ে ১০-১২ জন সদস্য ছিলেন। গতকাল পূর্ণাপানির খাসজঙ্গলে মৃত সুধীর শবরের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান ছিল। তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার উদ্দেশ্যে দলের সদস্যরা গ্রামে ঢুকতেই পরিবারের সদস্যদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। শ্রাদ্ধের সময়ও শবর সম্প্রদায়ের মৃত মানুষদের নিয়ে রাজনীতি করছে বিজেপি। এমন দাবি তুলে মৃতের পরিজনেরা ওই প্রতিনিধি দলের সামনেই ক্ষোভ উগড়ে দেন।
সুধীরের ছেলে খ্যাপা শবর তাঁদের মুখের উপর বলেন, কেন এসেছেন আপনারা? এখন তো আপনারা খালি আসতেই থাকবেন। আমাদের কী কাজ নেই নাকি? এখন কথা বলতে পারব না। আমাদের সময় অত সময় নেই।’ ফলে, অবস্থা বেগতিক দেখে তৎক্ষণাৎ এলাকা ছাড়ে দলটি।
এর আগে বহুবারই মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। তবে এবার যেভাবে বিজেপির গোটা প্রতিনিধি দলকেই তাড়িয়ে দিয়েছেন শবরেরা, তাতে মুখ পুড়েছে পদ্মশিবিরের।