কেরলের দিকে চলে যাওয়ার আগে নিজের শক্তি প্রদর্শন করে গেল ঘূর্ণিঝড় ‘গাজা’। যার ফলে বিধ্বস্ত গোটা তামিলনাড়ুই। সে রাজ্যের ৭ জেলায় ভয়ংকর তান্ডব চালাল এই ঘূর্ণিঝড়। গোটা শুক্রবার ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার বেগে বয়ে যাওয়া ঝড়ে বিধ্বস্ত তামিলনাড়ুর নাগাপট্টিনম, বেদারানায়ম-সহ রাজ্যের একাধিক এলাকা। পাশাপাশি, লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও৷ শনিবার সকাল পর্যন্ত ২০ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে৷
গত ৫ দিন ধরেই বঙ্গোপসাগরে পুঞ্জীভূত হচ্ছিল এই ঘূর্ণিঝড়৷ সমুদ্রের জলীয় বাষ্প শোষণ করায় সেটি আয়তনে বাড়ছিল ধীরে ধীরে৷ বৃহস্পতিবার শক্তি বৃদ্ধি পায় ‘গাজা’-র৷ শুক্রবার কাকভোরে তামিলনাড়ু উপকূলে আছড়ে পড়ে ঘূর্ণিঝড়টি। ১২৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে চলে মুষলধারে বৃষ্টি। তার প্রভাবেই তছনছ হয়ে গিয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা।
৭ জেলার উপকূল অঞ্চলে ভেঙে গিয়েছে বিদ্যুতের খুঁটি৷ তার জেরে ব্যাহত বিদ্যুৎ পরিষেবা। পাশাপাশি ঝড়ের দাপটে ভেঙে গিয়েছে একাধিক কাঁচাবাড়ি, বড় গাছ৷ রামনাথাপুরম, তাঞ্জাভুর, পুডুকোট্টাই ও তিরুভারু জেলার অবস্থায়ও খুব শোচনীয়। প্রবল বৃষ্টিতে ভেসে গেছে মাঠের ফসল। অধিকাংশ জেলায় মাঠেঘাটে জমে রয়েছে হাঁটুজল।
‘গাজা’ বিধ্বস্ত এলাকাগুলিতে বন্ধ রয়েছে স্কুল, কলেজ৷ সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়ার উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কুড্ডালোর, নাগাপট্টিনম, পুডুকোট্টাই, তাঞ্জাভুর, রামনাথাপুরম ও তিরুভারুর জেলায় ৪৭৭টি শিবির খোলা হয়েছে। তামিলনাড়ু ও পুদুচেরি প্রশাসন উপকূলবর্তী এলাকা থেকে অন্তত ৮৩ হাজার মানুষকে উঁচু জায়গায় শিবিরগুলিতে সরিয়ে নেয়।
ক্ষয়ক্ষতির পরিমাপ করতে আপাতত আকাশে চক্কর দিচ্ছে নৌ–সেনার কপ্টার। রয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দলও। ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারকে এককালীন ১০ লক্ষ টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন তিনি। গুরুতর আহতদের ১ লক্ষ ও সামান্য আহতদের ২৫ হাজার টাকা করে সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী পালানিস্বামী।