ভোটের সময় ইভিএম-এ বিজেপি কারচুপি করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই নিয়ে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দলীয় বৈঠকে কর্মীদের সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ’৪০ শতাংশ ইভিএম-এ বিজেপি কারচুপি করতে পারে। ইভিএম-এ খেয়াল রাখতে হবে। তাই এক বার নয়, তিন বার করে দেখে নিতে হবে ইভিএম। প্রয়োজনে তিন দফায় কর্মী রেখে খেয়াল রাখতে হবে’। পাশাপাশি ভিভিপ্যাট-এ খেয়াল রাখতে অতিরিক্ত কর্মী রাখারও নির্দেশ দিয়েছেন মমতা।
রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় এখন প্রথম দফায় ইভিএম পরীক্ষার কাজ চলছে। কমিশনের ভাষায়, যা ‘এফএলসি’। সাধারণত, এই ‘এফএলসি’ জেলা সদরে করা হয়। ‘এফএলসি’র সময়ে ইভিএম-এ থাকা ১৬টি বোতামেই একটি করে ভোট দিয়ে তা পরীক্ষা করা হয়। এর পরে জেলা সদরে থাকা ইভিএমে-এর মধ্যে পাঁচ শতাংশ ইচ্ছা মতো বাছতে পারেন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। তার মধ্যে এক শতাংশ ইভিএম-এ ১২০০ ভোট দেওয়া হয়। দুই শতাংশ করে ইভিএম-এ ১০০০ এবং ৫০০ ভোট দেওয়া হয়।
এরপরে তা গণনা করা হয়। এরপরে কমিশনের প্রতিনিধি এবং রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষর করার পরে সেই সব ইভিএম-ভিভিপ্যাট ‘ওয়্যারহাউসে’ চলে যায়। এরপর ওইসব ইভিএম-ভিভিপ্যাট দিন পনেরো আগে নির্দিষ্ট সংসদীয় বা বিধানসভা এলাকার প্রার্থীদের নাম সম্বলিত ব্যালট পেপার ইভিএম-এ দেওয়া হয়। সেই অবস্থায় ‘মক পোল’ হয়। যাকে ‘কমিশনিং’ বলে কমিশন। সেখানেও থাকেন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা। ভোটের দিন সকালে প্রার্থীদের এজেন্টদের উপস্থিতিতে ‘মক পোল’ করা হয়। তবে ‘এফএলসি’র সময়ে কোনও ইভিএম-ভিভিপ্যাট-এ ক্রটি ধরা পড়লে প্রস্তুতকারক সংস্থা ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেড (বেল) এবং ইলেকট্রনিক্স কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া লিমিটেড-এ (ইসিআইএল) সাত দিনের মধ্যে পাঠানো হয়।