যারা ‘গণশত্রু’ তারাই নাকি রক্ষা করবে গণতন্ত্রকে! রথ এখনও পথেই নামল না, তার আগেই রথযাত্রার প্রস্তুতিকে কেন্দ্র করে ময়দানে নেমে গেল বিজেপির দুই পক্ষ। ফলে আবারও রাজ্যে প্রকাশ্যে এল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব৷ তবে শুধু গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই নয়, খোদ জেলা সভাপতিকে মারধর, পার্টি অফিস ভাঙচুর ও মহিলা নেত্রীকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ বিজেপির দুই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে৷
রথযাত্রার প্রস্তুতি উপলক্ষে তেহট্ট শহরের একটি লজ ভাড়া করে নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক ডাকেন বিজেপি জেলা নেতৃত্ব৷ সভা শুরু হতে না হতেই একের পর এক অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি৷ দুই মণ্ডল সভাপতির পদ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন নিচু তলার কর্মী-সমর্থকরা৷ হঠাতই বিজেপির জেলা সভাপতির উপর চড়াও হন তাঁরা৷ নিজের দলের নেতা-কর্মীদের মারে জখম হন খোদ জেলা সভাপতিই৷
এরপরই বিজেপির দুই গোষ্ঠীর মধ্যে কথা কাটাকাটি থেকে হাতাহাতি শুরু হয়৷ সকলেই একে অপরের দিকে চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি করতে থাকেন৷ এখানেই শেষ নয়। এরপর পদ্মশিবির মেতে ওঠে পরস্পরের পোশাক ছেঁড়ায়৷ একে অপরের পোশাক ধরে টানাহেঁচড়া করতে শুরু করেন দুই পক্ষই৷ এরই মধ্যে পড়ে গিয়ে এক বিজেপি নেত্রী মাথা ফেটে রক্তক্ষরণ শুরু হয়৷ পরে, গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়৷ ঘটনায় আরও কয়েকজন জখম হন৷
এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা জয়ন্ত বিশ্বাস বলেন, ‘আমাকে জেলা সভাপতি মহাদেব সরকার জানিয়েছেন, ওই এলাকায় সুজিত পালকে সভাপতি করা হয়েছে। ৮ নম্বরের সভাপতি মলয় মণ্ডলকেও বাদ দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে কর্মীরা সভাপতির সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিল। কিন্তু, তিনি কোনও কথাই শোনেননি। তার জেরেই কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখান৷’
ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগে৷ আট ও ন’নম্বর মণ্ডল সভাপতি মলয় মণ্ডল ও জয়ন্ত বিশ্বাসকে সরিয়ে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন দলের একাংশ৷ এই নিয়ে জেলা সভাপতির সঙ্গে কথা বলতে চাইলেও তিনি তা বলেননি বলে অভিযোগ৷ ফলে অবস্থার অবনতি ঘটে। এ ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়ে দল। আবারও বিজেপির এক গোষ্ঠীদ্বন্দ প্রকাশ্যে আসায়, কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূলও।