এবার পর্যটক ও পাহাড়বাসীদের সারপ্রাইজ দিল খোদ পাহাড়! কারণ গত বছর যা দেখা যায়নি এবার নভেম্বরেই তা মিলল। শৈল শহর দার্জিলিং এখন প্রচণ্ড ঠান্ডায় কাঁপছে। গত বছর নভেম্বরে সেভাবে ঠান্ডাই অনুভূত হয়নি পাহাড়ে। এবার বেনজিরভাবে নভেম্বরের মাঝামাঝি সময়েই পাহাড়ের তাপমাত্রা ৬-৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে ঘোরাঘুরি করছে। রাতে তা ৪ ডিগ্রিতে নেমে যাচ্ছে।
ঠান্ডার সঙ্গে দোসর হয়েছে ঘন কুয়াশাও। দিনভর সূর্যের দেখা মিলছে না। ফলে আরও জবুথবু অবস্থা পাহাড়বাসীর। ঘুমে বৃষ্টিও হচ্ছে। সমতল থেকে ৭২০০ ফুট উচ্চতায় টাইগার হিলসে বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অবশ্য এই তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
টাইগার হিলস ট্যুরিস্ট ইনফরমেশন সেন্টার সেলের ইনচার্জ প্রদীপ লামা বলেন, এই ঠান্ডায় রাতে টাইগার হিলে বরফ পড়ার সম্ভবনা আছে। পাহাড়ে বরফ পড়ার আশায় ছুটছেন পর্যটকরাও। শীতের বিকেলেও পর্যটকদের ভিড়ে জমজমাট থাকছে ম্যাল। ম্যালে বেড়ানো অনেক পর্যটকই বলেন, এখনই এত শীত ভাবা যাচ্ছে না। বরফ পড়ার আশায় আমরা বসে আছি। সান্দাকফু রুটেও ভালো পর্যটক হচ্ছে।
আবহাওয়া বিশেজ্ঞরা জানিয়েছে, সমতলে এখনই জাঁকিয়ে শীত পড়ছে না। পশ্চিমীঝঞ্ঝা কেটে গেলে আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাপমাত্রা আবার বাড়বে। তবে এই মুহূর্তে শুধু ঠান্ডাতেই রক্ষা নেই। সঙ্গে পাহাড় জুড়ে শুরু হয়েছে ঘন কুয়াশাও। শুক্রবার দিনভর কুয়াশার চাদরে মুড়ে ছিল শৈলরানি দার্জিলিং।