ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া দেশের ক্রিকেটারদের কাছে পরিষ্কার করে দিয়েছে দেশ আগে। তাই আইপিএলের পরবর্তী আসরে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের খেলার ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে এই ফরমান জারি করেছে তারা। তাই যাঁরা বিশ্বকাপে খেলবেন তাঁরা আইপিএল পুরোটা খেলতে পারবেন না। আইপিএল মার্চের শেষ থেকে মে-র শেষ পর্যন্ত চলে। আর ৩০ মে থেকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে শুরু হয়ে যাবে এ বারের ক্রিকেট বিশ্বকাপ। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া চায় অ্যাসেজের আগে দেশ যাতে বিশ্বকাপ ট্রফিটা ধরে রাখতে পারে। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী এপ্রিলের শেষ বিশ্বকাপের জন্য ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করা হবে। সেই দলে যাঁরা থাকবেন তাঁদের মে-মাসের শুরুতে বিশ্বকাপের শিবিরে যোগ দিতে হবে।
তবে বিধিনিষেধের এখানেই শেষ নয়। সিএ জানিয়েছে, ১৫-২৯ মার্চ পর্যন্ত নির্ধারিত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়ার ওয়ান ডে সিরিজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও ক্রিকেটারকে আইপিএলে খেলার অনুমতি দেওয়া হবে না। অর্থাৎ অজি ক্রিকেটাররা আইপিএলে খেলার সুযোগ পাবেন শুধুমাত্র এপ্রিল মাসের ম্যাচগুলিতে। জাতীয় দলে না থাকা খেলোয়াড়রাও বিধিনিষেধের হাত থেকে নিস্কৃতি পাবেন না। ঘরোয়া শেফিল্ড শিল্ড টুর্নামেন্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনও ক্রিকেটারকেই আইপিএলে খেলার অনুমতি দেবে না সিএ। শেফিল্ড শিল্ডের ফাইনাল ম্যাচ শেষ হবে ১ এপ্রিল। তারপর তাঁরা চাইলে আইপিএলে খেলতে পারবেন। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার অন্তবর্তী টিম পারফরম্যান্স চিফ বেলিন্ডা ক্লার্ক বলেছেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় দলের স্বার্থেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। আশা করি, ক্রিকেটাররা এটা বুঝবেন।’ উল্লেখ্য, বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে ২০১৯ সালের আইপিএল কয়েকদিন এগিয়ে আনার পরিকল্পনা নিয়েছে বিসিসিআই। টি-২০ টুর্নামেন্টটি শুরু হবে ২৩ মার্চ। চলবে মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত।
অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট এই মুহূর্তে খুব খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার উচ্চপদস্থ প্রায় সব কর্তারাই দায়িত্ব ছেড়েছেন। বল-বিকৃতি বিতর্কে অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট সমস্যায়। সেখান থেকেই বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে তারা।