সতীর্থদের কাছ থেকে অপমান হজম করাটা হয়ে গিয়েছিল নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। ইদানীং দলের কাছেও ক্রমশ গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছেন তিনি। তাই শেষমেশ আর চুপ থাকতে পারলেন না বহরমপুরের সাংসদ তথা সদ্য প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। গতকাল রাজনৈতিক ‘গুরু’ সোমেন মিত্রের সামনেই তাঁর ক্ষোভ উগরে দিলেন ‘শিষ্য’ অধীর।
বৈঠকে উপস্থিত এআইসিসি পর্যবেক্ষক গৌরব গগৈও শুনে গেলেন দলের এই অন্তর্কলহের কিসসা। তবে অধীর তাঁর রাজনৈতিক অভিভাবক সোমেনকে সরাসরি কাঠগড়ায় তোলেননি। তিনি সোমেন-যুগে বিধানভবন চালানো নেতাদের দুষেই চাপে রাখতে চেয়েছেন প্রদেশ সভাপতিকে।
সূত্রের খবর, প্রদেশ কংগ্রেসের বর্ধিত কমিটির বৈঠকের পরে প্রাক্তন সভাপতি অধীর চৌধুরী বর্তমান সভাপতি সোমেন এবং অন্য নেতাদের সামনেই অভিযোগ করেন, তাঁর জমানায় দায়িত্ব পাওয়া পদাধিকারীদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে খারাপ আচরণ করা হচ্ছে। এমনকি তাঁর আমলে দায়িত্ব পাওয়া কিছু পদাধিকারীকে কোনও বৈঠকেও ডাকা হচ্ছে না বা সে বিষয়ে কিছু জানানোও হচ্ছে না।
তাঁর অভিযোগ, তাঁকেও যথাযথ ভাবে দলের অনেক কর্মসূচির কথা আগাম জানানো হচ্ছে না। ফলে ক্ষোভ জমেছে তাঁর মনে। আসলে পরোক্ষভাবে সোমেনের দিকেই আঙুল তুলেছেন দলে ক্রমশ ব্রাত্য হয়ে পড়া অধীর। কারণ রাজ্যে কংগ্রেসের সমস্ত কর্মসূচী স্থির করেন মূলত প্রদেশ সভাপতিই।
যদিও মুখে তিনি বলেছেন,’আমি সোমেনদাকে দোষ দেব না। উনি আমার রাজনৈতিক অভিভাবক। কিন্তু সোমেনদার পরে যাঁরা আছেন, তাঁরা এসব করছেন। এগুলো না হওয়াই কাম্য।’ কিন্তু তবুও এখানে এক ঠান্ডা লড়াইয়ের গন্ধ পাচ্ছেন রাজনীতির কারবারিরা। যা নিয়ে চিন্তিত বৈঠকে উপস্থিত থাকা এআইসিসি পর্যবেক্ষকও।