তৃণমূল চায় বিজেপিকে সম্পূর্ণ রূপে নির্মূল করে রাজ্যকে সাম্প্রদায়িকতার হাত থেকে রক্ষা করতে। তাই মুর্শিদাবাদের মানুষদেরও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে থাকার অনুরোধ করলেন পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। একইসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, ‘অধীর চৌধুরীকে হারানোর সব দায়িত্ব আমি নিজের কাঁধে তুলে নিচ্ছি।’
বুধবার বহরমপুরে প্রয়াত তৃণমূল জেলা সভাপতি মান্নান হোসেনের মৃত্যবার্ষিকী উপলক্ষ্যে একটি স্মরণসভার আয়োজন করেছিল জেলা তৃণমূল। সেই অনুষ্ঠানেই যোগ দিতে এসেছিলেন শুভেন্দু। মন্ত্রী ছাড়াও তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুব্রত সাহা, কার্যকরী সভাপতি সৌমিক হোসেন-সহ জেলার অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। গতকাল কাঁথিতে পূর্ব মেদিনীপুর ২ রেঞ্জ কন্টাই কো-অপারেটিভ ইউনিয়নের ৬৫ তম নিখিল ভারত সমবায় সপ্তাহেরও সূচনা করেন শুভেন্দু।
বিজেপির বিরুদ্ধে বহরমপুরের সভায় রীতিমতো তোপ দাগেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। নেত্রীর এই সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী লড়াই দেশের নেতারা জানেন। তাই বিজেপির ভুল রাজনীতিকে মানুষের সামনে তুলে ধরতে হবে। তাঁদেরকে সঙ্গে নিয়েই রাজ্য থেকে বিজেপিকে নির্মূল করতে হবে। আরও বেশি মানুষকে আমরা পাশে চাই। আমি জানি, মুর্শিদাবাদের মানুষ আমাদের সঙ্গেই আছেন। আপনারা দিদির হাত আরও শক্ত করুন।’
এর পাশাপাশি, কাঁথি সমবায় ইউনিয়ন অফিসে সমবায় বিষয়ক আলোচনাসভায় কেন্দ্রীয় সরকারের আমানত বিমা বিলের (এফআরডিআই) বিরোধীতায় সমবায়ীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী। সমবায় নিয়ে কেন্দ্র দ্বিচারিতা করতে, এই অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘গ্রামীণ অর্থনীতির ভীত মজবুত করার ক্ষেত্রে সমবায়ের ভূমিকা অপরিসীম। জেলায় জেলায় বহু মানুষের আস্থা এবং ভরসার জায়গা এই সমবায়। কেন্দ্র সরকারের দ্বিচারিতার কারণে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে সমবায় আন্দোলন।’ কেন্দ্রের এই বিল আরও সর্বনাশ ডেকে আনবে এবং ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থার পাশাপাশি সমবায় ব্যবস্থার ওপরও মানুষের ভরসা উঠে যাবে বলেই তাঁর মত।