জঙ্গলমহলে শবর-মৃত্যু নিয়ে সারাসরি কিছু না বললেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝিয়ে দিয়েছেন অনাহারের প্রশ্নই নেই। বরং মমতা প্রশ্ন তোলেন, অসুস্থ হওয়ার পর ডাক্তার ওষুধ দিলেও কেউ যদি ওষুধ না খায় তাহলে কী করা যেতে পারে?
শারদ-সম্মান প্রদান অনুষ্ঠানে নবান্ন সভাঘর থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘রাজ্যে অনাহারে না খেতে পেয়ে মারা গেছে, একথা কেউ বলতে পারবে না। আজ সবার কাছে চাল পৌঁছয়। জঙ্গলমহলে একজন ৮ কেজি চাল, ৩ কেজি গম সব মিলিয়ে ১১ কিলোগ্রাম পায়। পরিবারে ৫ জন থাকলে ৫৫ কেজি মেলে। এটা ভাবতে পারেন? খাবারের অভাব আছে? হয়তো মানুষ একটা পেলে আর একটা চাইতেই পারে। প্রত্যাশা থাকতেই পারে। কিন্তু দুই টাকা কেজি চাল সরকারকে ২৫ থেকে ২৬ টাকায় কিনতে হয়’।
প্রসঙ্গত, লালগড় এলাকার পূর্ণাপানিতে সম্প্রতি কয়েকজনের মৃত্যু নিয়ে বিতর্কের বিষয়ে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, অতিরিক্ত মদ্যপান, অনিয়মিত জীবনযাপন ও রোগকে উপেক্ষা করার কারনেই মৃত্যু ঘটেছে। এমনকি ওই শবরেরা অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে গেলেও চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ খাননি। কিন্তু শবর-মৃত্যু নিয়ে বিরোধীদের অপপ্রচারে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সমাজের প্রতিটা মানুষ যাতে বিচার পায় সেই চেষ্টা করছি। যাতে কারও পেটের ভাতের অভাব না হয়। কেউ অসুস্থ হলে ডাক্তার ওষুধ দিলেও যদি কেউ ওষুধ না খায় তাহলে কিছু করার নেই’।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে বিভিন্ন বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। অভাবী পরিবারকে মৃতদেহ সৎকারের জন্য ২০০০ টাকা দেওয়া হয়। প্রসূতি ও সদ্যোজাতকে হাসপাতালে নিয়ে আসতে মাতৃযান পাঠানো হয়। সরকারি চাকরির জন্য আদিবাসীদের বয়সসীমা ৪৫ করা হয়েছে। প্রত্যেকের জন্য কিছু না কিছু করা হয়েছে। এতকিছুর পরেও যদি কেউ বদনাম করে তাহলে কিছু বলার থাকে না’।