দুর্গাপুজোর অষ্টমীর দিন ১০০ বছরে পদার্পন করেছেন সর্বভারতীয় মতুয়া মহাসংঘের বড়মা বীণাপাণিদেবী। র জন্মশতবর্ষ উদ্যাপনকে সামনে রেখেই আগামীকাল এই ঠাকুরনগরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অসমের এনআরসি ইস্যুতে বাঙালি এবং মতুয়াদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী মতুয়া ও নমঃশূদ্রদের জন্য পৃথক উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করায় খুশি বড়মাও।
মমতার এমন ধারাবাহিক কাজে খুশি বড়মা। হাসিমুখে বললেন, ‘মমতাকে অনেকদিন ধরে চিনি। মমতার প্রতি আমার বিশ্বাস ও ভরসা আছে। অনুষ্ঠানের দিন আমি ওঁর মঞ্চেও যাব’।
ঠাকুনগরের রাস্তার ধারেই মতুয়া মহাসংঘের ঠাকুরবাড়ি। সেখানে যে ঘরে তিনি থাকেন তার নাম ‘ঠাকুর কুঠির’। তাঁর দেখভাল করার জন্য সবসময় আছেন বড় বৌমা মমতাবালা ঠাকুর। জানালেন, একশো বছর বয়সেও প্রতিদিন ভোরে নিজেই হাঁটতে বের হন বড়মা। মমতাবালা বলেন, ‘ভোরে ঘুম থেকে উঠে এক কাপ দার্জিলিং চা আর দু’টো বিস্কুট খান। ব্রেকফাস্টে কোনও নিয়ম নেই। কখনও মুড়ি খান, কখনওবা অন্যকিছু। দুপুরে মাছ ভাত। কোনও সবজি উনি খান না। কাতলা মাছ ও ইলিশ মাছ প্রিয়। ফল খেতেই চান না। তাও দুপুরে নিয়ম করে মুসম্বির রস দিই। বিকালে আবার এক কাপ চা। সঙ্গে দু’টো বিস্কুট। রাতে দুধ দিয়ে একটি কিংবা দু’টো রুটি খান’। মমতাবালার কথায়, ‘সারবছর বড়মা একেবারেই জল খান না। এটা নিয়ে আমরা সবাই অবাক। সারাদিনে উনি মাত্র এক চুমুক জল খান। তাও ওনার কিডনি সহ শরীরের সমস্ত অঙ্গ ভালো রয়েছে’।বড়মার প্রেসার মাপানো, ওষুধ খাওয়ানো, ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা এই সমস্ত কিছুই দেখাশোনা করেন মমতাবালা।
মমতা সভা করতে আসায় তিনিও খুব খুশি। সেই কথাই জানালেন মমতাবালা। বললেন, ‘নাগরিকপঞ্জী ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী আমাকে আসমে পাঠিয়েছিলেন। উনি সব সময় আমাদের মতুয়াদের পাশে রয়েছেন। আমরা তাতে ভরসা পাই’।