আব কি বার আর পদ্ম ফুটবে না মরুভূমিতে। বরং তা তলিয়ে যাবে দলের নেতা-কর্মীদের অসন্তোষ এবং আমজনতার ক্ষোভের চোরাবালিতেই। গতকালের ঘটনায় মিলল এমনই ইঙ্গিত। রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পরই দলত্যাগের মরুঝড়ে দিশেহারা বিজেপি।
৭ ডিসেম্বর রাজস্থানে বিধানসভা নির্বাচন। সোমবার বিজেপির প্রথম পর্বের তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরেই ঘটে গেল অঘটন। এই নির্বাচনের আবহে মোদী অমিত শাহের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে দলত্যাগ করলেন প্রায় ২৫০ নেতা-কর্মী।
উল্লেখ্য, সোমবার বিজেপি রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনে ১৩১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে। এর মধ্যে রয়েছেন ৮৫ জন বিধায়ক। ২৫ জন নতুন মুখকেও রাখা হয়েছে বিজেপির তালিকায়। মহিলা প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন ১২ জন। এছাড়া, ওই তালিকায় রয়েছেন ১৭ জন তপশিলি জাতিভুক্ত প্রার্থী আর ১৯ জন তপশিলি উপজাতিভুক্ত প্রার্থী।
প্রার্থী তালিকা প্রকাশ উপলক্ষ্যে সোমবার জয়পুরে বিজেপির মুখ্য কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছিলেন নেতা-মন্ত্রীরা। কিন্তু তালিকা প্রকাশ হওয়ার পরেই শোরগোল পড়ে যায়। এই তালিকায় যেসব নেতা মন্ত্রীদের নাম বাদ পড়েছে, মঙ্গলবার সকালে তাঁদের সমর্থকেরা কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ দেখায়।
নির্বাচনী তালিকায় মোট ২৫০ জন নেতার নাম না থাকায়, এই নেতারা প্রকাশ্যে দল ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি তাঁদের সমর্থকেরাও নেতাদের সুরেই সুর মেলায়। ফলে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে গোটা রাজ্যে বিজেপির অন্যান্য কার্যালয়গুলিতেও।
সমর্থকেরা আরও ক্ষোভে ফেটে পড়েন যখন এই প্রার্থী তালিকা থেকে নাম বাদ পড়ে আজমেড়ের কিষাণগড় কেন্দ্রের বিধায়ক ভগীরথ চৌধুরীর। এমনকি পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পুলিশবাহিনী পৌঁছায়। পরিস্থিতি বাগে আনতে বিভিন্ন অফিসের সামনে পুলিশি পাহারাও বসানো হয়।
প্রসঙ্গত, এই নির্বাচনী টিকিট না পাওয়া নেতাদের রাগ ভাঙানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কেন্দ্রীয়মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে। কিন্তু তিনি যে দলীয় নেতা-কর্মীদের রাগ ভাঙাতে ব্যর্থ, এর জলজ্যান্ত প্রমাণ এই বিক্ষোভ এবং দলে ভাঙন।