গোটা দেশের মানুষই তিতিবিরক্ত। একের পর এক নির্বাচনে জনগণের গুঁতো খাচ্ছে তারা। এবার অবলা প্রাণীদেরও চক্ষুশূল বিজেপি। তারই ফলস্বরূপ, গতকাল ষাঁড়ের গুঁতো খেতে খেতে বাঁচলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। তবে গুঁতো না খেলেও ষাঁড়ের তাড়া খেয়ে কম বিড়াম্বনায় পড়েননি ‘দুষ্টু লোক’।
মঙ্গলবার উত্তরবঙ্গে রথযাত্রার পরিকল্পনা বৈঠকে এসেছিলেন মুকুল। প্রস্তুতি কাজ খতিয়ে দেখে এবং দলীয় কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে মুকুল সোজা চলে আসেন শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গান্ধী ময়দান। সেখানে মনকামনা কৃত্তিম ছটঘাট বানিয়ে ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের জন্য ছটপুজোর আয়োজন করেছিলেন এলাকার কাউন্সিলার খুশবু মিত্তাল।
মুকুল ছটঘাট পরিদর্শন করে বেরতে যেতেই বিপত্তি ঘটে। তিনি বেরতেই, হঠাৎ একটি ষাঁড় তাঁর দিকে তেড়ে আসে। আকস্মিক এই ঘটনায় হতভম্ভ হয়ে কোথায়, কোনদিকে যাবেন তিনি বুঝে উঠতে পারছিলেন না। আগে দিশেহারা মুকুল, তাঁর পিছনে শিং উঁচিয়ে ষাঁড়, এমন অবস্থায় শেষে তাঁর দেহরক্ষীদের তৎপরতায় এ যাত্রায় রক্ষা পান মুকুল। দেহরক্ষীরাই তাঁকে তড়িঘড়ি গাড়িতে বসিয়ে, ষাঁড়টিকে তাড়িয়ে দেয়।
এই ঘটনার ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে কাউন্সিলার খুশবু মিত্তাল বলেন, ’ষাঁড়টি কাউকে কিছু করে না। খুব শান্ত ষাঁড় এটি। হঠাৎ করে কোথা থেকে এসে পড়লো জানি না’। অন্যদিকে, জেলার তৃণমূল নেতারা এ নিয়ে মুকুলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ষাঁড়ও বুঝে গেছে এই বিজেপি নেতারা কতটা বিপজ্জনক। তাই সামনে পেয়ে নিজের অভিব্যক্তি বুঝিয়ে দিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনে ভোট বাক্সেই ওই নেতাদের বাকিটা বুঝিয়ে দেবেন রাজ্যের মানুষ।
তাঁর নিজের দল বিজেপির এক নেতাই একবার মুকুলের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন, ‘ভাগ মুকুল ভাগ’। গতকাল মনকামনা ছটঘাট পরিদর্শনে গিয়ে এমনই এক অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলেন বিজেপির পশ্চিমবঙ্গ শাখার নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান, যে তাঁকে একপ্রকার পড়ি কি মরি করে ছুটতেই হল।
https://www.facebook.com/ekhonkhobor18/videos/195231708067810/?t=0