গেরুয়া প্রার্থীর বোতাম টিপলেই মিলছে পকেট ভর্তি নগদ টাকা। সঙ্গে মদ-মাংস তো আছেই। রাখা হয়েছে দেদার ফূর্তির আয়োজনও। ছত্তিশগঢ়ের প্রথম দফার ভোট শেষে এমনই অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে।
অভিযোগ, শুধু ‘চাউলে ওয়ালে বাবা’-কে ভোট দিলেই ‘মন খুশ’ করে দেবে বিজেপি। কে এই ‘চাউলে ওয়ালে বাবা’? ছত্তীসগঢ়ের গ্রামে গ্রামে মুখ্যমন্ত্রী রমন সিংহকে লোকে ওই নামেই ডাকে। পাঁচ রাজ্যের ভোটে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রীই বিজেপির সেরা বাজি। ১৫ বছর গদিতে থাকার পরেও ‘রমন পর বিশ্বাস’ স্লোগান তুলে বিজেপি এই ভোটে নেমেছে। আর ক্ষমতায় ফিরতে রমনের সেরা বাজি ঢালাও মদ-মাংস আর নগদ টাকা। সঙ্গে মন মজানো ফুর্তির হরেক আয়োজন। বিজেপি প্রার্থী রমণ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ তুলছেন বিরোধীরা।
এখানেই শেষ নয়। ভোট শুরুর আগে থেকেই এই ‘ঘুষ’ প্রক্রিয়া শুরু করেছে বিজেপি। গত অগস্টে রাখি-বন্ধনে গোটা বিধানসভা কেন্দ্রের গ্রামে গ্রামে ঘুরে মহিলাদের দিয়ে নিজের হাতে রাখি বাঁধিয়েছেন জগদলপুরের বিজেপি বিধায়ক সন্তোষ বাফনা। ভাইয়ের উপহার হিসেবে দিদি-বোনেদের দিয়েছেন দামি শাড়ি। আর দিনি বোনেদের উপহার? বিজেপিকে ভোট।
কিন্তু এত ফূর্তির আয়োজন করেও শান্তি নেই। মাওবাদীদের ভয়ে কম্যান্ডো নিয়ে ঘুরে বেড়ান রমণ বিশ্বাস। কাজের সময়ে তাঁর দেখা মেলে না বলেও অভিযোগ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের আরও অভিযোগ, ঘুষ না দিলে কোনও সরকারি কাজ হয় না। মন্ত্রী-বিধায়কদের বিরুদ্ধেও দূর্নীতির ফিরিস্তি লম্বা। তাই সবাভাবিকভাবেই ভোটে জিততে নগদ টাকা আর মদ-মাংসের ওপরেই ভরসা রাখতে হচ্ছে বিজেপিকে।
এরপরেও নিশ্চিন্ত হতে পারছে না বিজেপি। কংগ্রেসের অভিযোগ, বস্তার এলাকায় বিজেপি ইভিএম-এ রিগিং করেছে। কংগ্রেসের পরিষদীয় দলনেতা টিএস সিংহদেওর দাবি, ‘হাত থেকে খেলা বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে বিজেপি মরিয়া হয়ে ইভিএম-এ রিগিং করছে বলে গোটা বস্তার থেকে রিপোর্ট এসেছে’।