ক্ষমতায় এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী স্লোগান তুলেছিলেন ‘বেঙ্গল মিনস বিজনেস’। বাংলায় শিল্পের চিন্তা-ভাবনা তুলে ধরেছেন বিশ্বের তাবড় শিল্পপতিদের কাছে। অবশেষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্ন ধীরে ধীরে সাফল্যের পথে এগোচ্ছে। দেশের প্রথম সারির শিল্পপতিরা সিলিকন ভ্যালিতে জমি কেনায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন। পাশপাশি আসছে বিদেশি বিনিয়োগও।
তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে নয়া লগ্নি টানতে আমেরিকার সিলিকন ভ্যালির অনুকরণে রাজারহাট-নিউটাউনে ‘বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি হাব’ তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। সেখানেই চারটি বৃহৎ আইটি কোম্পানি, রিলায়েন্স জিও, টিসিএস, কেপ জেমিনি ও ফার্স্টসোর্স সলিউশন রাজারহাট নিউটাউনের সিলিকন ভ্যালি হাবে তাদের ইউনিট খুলতে চেয়েছে। এর মধ্যে কেপ জেমিনি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর শিল্প ভাবনায় উৎসাহিত হয়ে নিউটাউনে বিনিয়োগ করছে তারা। অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানিয়েছেন, ‘বেঙ্গল সিলিকন ভ্যালি হাবে রিলায়েন্স জিও ৪০ একর, টিসিএস ২০ একর, কেপজেমিনি ১০ একর ও ফার্স্ট সোর্স চার একর জমি চেয়ে আবেদন করেছে।’ যে কোনও ইন্ড্রাস্ট্রি পার্কে যেভাবে সরকারি জমি দেওয়া হয়, এক্ষেত্রেও একই নীতি অনুসরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
জানা গেছে, রিলায়েন্স জিও সিলিকন ভ্যালির প্রস্তাবিত ৪০ একর জমিতে তথ্যপ্রযুক্তি সক্রিয় টেলিকম, বিগ ডেটা অ্যানালিসিস ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টালিজেন্স এর জন্য স্টেট-অফ-দ্য-আর্ট-সেন্টার বানাতে চায়। টিসিএস-এর ২০ একর জমিতে আরও ১৫,০০০ তথ্য প্রযুক্তি কর্মীর কর্মসংস্থান করবে। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের কেপজেমিনি অত্যাধুনিক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবসা গড়ে তুলবে এই ১০ একর জমিতে। আর ফার্স্টসোর্স এর সঞ্জীব গোয়েঙ্কা প্রস্তাবিত ৪ একর জমিতে তৈরি হবে সংস্থার ক্যাম্পাস।
এই চারটি সংস্থা ছাড়াও ইনফোসিস, টেক মাহিন্দ্রা, ন্যাসকম, ডিকিউই, জেনপ্যাক্টের মতো সংস্থাগুলিও সিলিকন ভ্যালিতে জমি চেয়ে আবেদন করেছে। আইটি কোম্পানিগুলির উৎসাহ দেখে রাজারহাট নিউটাউনের সিলিকন ভ্যালি হাবে আরও ১০০ একর জমি জুড়ে এলাকাকে দ্বিগুণ করা হয়েছে। কাজও শুরু হয়ে গেছে জোরকদমে। আগামী ১৫ মাসের মধ্যে তাদের বিল্ডিং নির্মানের কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে ইনফোসিস। কয়েকটি সংস্থা ইতিমধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়াও শুরু করে দিয়েছে। ৪০ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই প্রকল্পে ১০ হাজার কর্মসংস্থান হবে বলে মনে করা হচ্ছে।