চন্দননগরের প্রধান উৎসবই জগদ্ধাত্রী পুজো। তাই ইতিমধ্যেই জমজমাট সেখানকার রাস্তাঘাট। গতকালই উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে ঢাকে কাঠি পড়ে গেছে জগদ্ধাত্রী পুজোর। আজ সোমবার, মহাপঞ্চমীর দিনেও কয়েকটি পুজোর উদ্বোধন হবে।
জানা গেছে, এবার পুজোয় ভিড় সামাল দিতে প্রায় ২৩০০ পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার এবং ৭০০ হোমগার্ড নিয়োগ করছে চন্দননগর কমিশনারেট। পাশাপাশি ভিড়ের উপর নজরদারি চালাতে ১০০টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে। শুধু তাই নয়, বিসর্জনের দিন ভিড় নিয়ন্ত্রণের সুবিধার জন্য ড্রোন ব্যবহার করবে পুলিশ।
রবিবার বিকালে চন্দননগর থানার সামনে জগদ্ধাত্রী পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ অনুষ্ঠানে পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার জানান, যে কোনও ধরনের সমস্যা জানাতে দুটি হেল্প লাইন নম্বরের ব্যবস্থা থাকছে। ০৩৩-২৬৮৩০২৯৩ এবং ০৩৩-২৬৮০২৯৪ নম্বরে যে কোনও ধরনের সমস্যায় পড়লে দর্শনার্থী বা সাধারণ মানুষ তা প্রশাসনকে জানাতে পারবেন। এছাড়াও ট্রাফিক সংক্রান্ত যে কোনও ধরনের সমস্যার জন্য ৬২৮৯০৩৮৮০৬ এই মোবাইল নম্বরে জানাতে পারবেন।
কমিশনারেট সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৩ নভেম্বর ষষ্ঠীর দিন থেকে নবমী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত প্রতিদিন বিকাল ৩টা থেকে পরদিন ভোর ৬টা পর্যন্ত চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরে ঢোকার মোট ৬৬টি রাস্তায় নো এন্ট্রি থাকবে। দশমীর দিন ওই রাস্তাগুলিতে দুপুর ২টা থেকে নো এন্ট্রি চালু হবে। গঙ্গাবক্ষেও ৪ বোটের মাধ্যমে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
চন্দননগর কর্পোরেশনের কমিশনার স্বপন কুণ্ডু বলেন, দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য ৫টি অস্থায়ী টয়লেটের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাছাড়াও ২৪ ঘন্টা পানীয় জল, শহরকে পরিষ্কার রাখতে অতিরিক্ত সাফাই কর্মী নিয়োগ এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অন্যদিকে, এদিন দুপুরে নিজেদের অফিসে পৃথক সাংবাদিক বৈঠক করে জগদ্ধাত্রী পুজোর গাইড ম্যাপ প্রকাশ করে কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি। সংগঠনের সম্পাদক শুভজিৎ সাউ বলেন, এবার ১৬১টি পুজো কেন্দ্রীয় কমিটির আওতায় রয়েছে। দশমীর দিন চন্দননগরের ৬৩টি ও ভদ্রেশ্বরের ১৩টি পুজো কমিটি মোট ২৫৫টি লরি নিয়ে ঐতিহাসিক শোভাযাত্রায় অংশ নেবে।