পুরনো চুক্তি বাতিল করে নতুন উদ্যোগে শুরু হয়েছে সবুজদ্বীপের সৌন্দর্যায়নের কাজ। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য ইতিমধ্যেই পূর্তদপ্তরের নেতৃত্বে দ্রুতগতিতে চলছে প্রকল্পের কাজ।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বলাগড়ের সবুজদ্বীপ পরিদর্শন করার পর এমনটাই জানালেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, পূর্তদপ্তর স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে প্রকল্প বাস্তবায়িত করবে। প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ হলে সবুজদ্বীপ পর্যটনের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হয়ে উঠবে।
পাশাপাশি ইমামবাড়ার সংস্কারের কাজ দ্রুত শেষ করার জন্য বরাত পাওয়া সংস্থার সঙ্গে কথা বলা হবে বলেও জানান মন্ত্রী। পাশাপাশি ইমামবাড়া থেকে ব্যান্ডেল চার্চ পর্যন্ত প্রস্তাবিত রোপওয়ের কাজ যাতে দ্রুত শুরু করা যায়, তার জন্য দপ্তরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলা হবে বলে জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে পর্যটনমন্ত্রী চুঁচুড়া সার্কিট হাউস থেকে বেরিয়ে প্রথমে ইমামবাড়া, ব্যান্ডেল চার্চ ও হংসেশ্বরী মন্দিরে যান। পরে হংসেশ্বরী মন্দির থেকে বলাগড়ের সবুজদ্বীপ প্রকল্প ঘুরে দেখার জন্য রওনা দেন। গৌতমবাবু ছাড়াও জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান, সহ সভাধিপতি সুমনা ঘোষ, বিধায়ক অসীম মাজি, বিডিও সৌমিক সরকার সহ জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজ্যে ক্ষমতার পালা বদলের পর সবুজদ্বীপকে পাকাপাকিভাবে একটি আদর্শ পিকনিক স্পট হিসেবে গড়ে তোলার উদ্যোগ নেয় তৃণমূল সরকার। পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করার জন্য সাজিয়ে তোলার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ ও কমপক্ষে ১০০টি পরিবারের রাতে থাকার মতো পরিকাঠামো গড়ে তোলা ও নদীপথে যাওয়ার জন্য তিনটি অস্থায়ী জেটি, রোপওয়ে তৈরির কথা বলা হয়। এছাড়াও পাশে খাস জমিতে বৃদ্ধাশ্রম ও গেষ্ট হাউস তৈরির পরিকল্পনা করা হয়।
প্রকল্পের শিলান্যাসের পরেই একটি সংস্থা কাজের বরাত পায়। কিন্তু তিন বছর পেরিয়ে গেলেও, বরাত পাওয়া সংস্থা দ্বীপটিকে সেভাবে সাজিয়ে তোলার কাজ করতে না পারায় গত বছর মুখ্যমন্ত্রী কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দেন। কয়েক মাস আগেই পূর্তদপ্তর নতুন করে সবুজদ্বীপকে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু করেছে। প্রসঙ্গত, প্রকল্পের শিলান্যাস করে বাস্তবায়িত করার জন্য ১৫০ কোটি টাকা বরাদ্দও হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই।