দেশের প্রথম দক্ষিণেশ্বর স্কাইওয়াক ঘুরে ঘুরে দেখছিলেন এক যুবক। হালকা চালে হাঁটছিলেন। আচমকাই তাঁর হাত চেপে ধরেন এক নিরাপত্তারক্ষী। প্রথমে বেশ কিছুক্ষণ কথা কাটাকাটি। তারপর দেখা গেল, জল ঢেলে একটা জায়গা ধুচ্ছেন ওই যুবক। অভিযোগ, স্কাইওয়াকে থুতু ফেলেছিলেন তিনি। তাই জায়গা ধুয়ে দেবার ‘শাস্তি’।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করে যাওয়ার পরেই পান-গুটখার পিকে চিত্রিত হয়েছিল স্কাইওয়াক। নজরে আসতেই কর্মীরা সেই জায়গা সাফ করে দেন। সেই ছবি এবং ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ফের সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল। তবে তক্কেতক্কে ছিলেন নিরাপত্তা কর্মীরা। যে যুবক থুতু ফেলেছিলেন তাঁকে দিয়েই করানো হল সাফ।
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি ও সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, ‘স্কাইওয়াক নোংরা করলে জরিমানা করার বিজ্ঞপ্তি জারি করতে বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। মানুষ যদি সচেতন না হন, তা হলে তো ব্যবস্থা নিতেই হবে’। স্কাইওয়াক রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দক্ষিণেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষকে। সাফাইয়ের দায়িত্বে রয়েছে কামারহাটি পুরসভাকে। কুশলবাবুর কথায়, ‘স্কাইওয়াক আমাদের দেশের গর্ব। মানুষ যদি তা না বোঝেন, সেটা দুর্ভাগ্যের। একে রক্ষা করতে আমাদের কড়া হতে হবে।‘
সকাল ১১টা নাগাদ মন্দিরে যাওয়ার সময়ে স্কাইওয়াকের মাঝামাঝি জায়গায় বসিরহাটের বাসিন্দা ওই যুবক থুতু ফেলেন বলে অভিযোগ। তা চোখে পড়ে যায় কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষী ও এক ইঞ্জিনিয়ারের। সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা তাঁকে ধরে ফেলেন। প্রথমে স্বীকার না করলেও রক্ষীরা জানান, পুরো ঘটনাটি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। আর অস্বীকার করার জায়গা নেই দেখে নিজের ভুল স্বীকার করে নেন অভিযুক্ত যুবক। মন্দির কর্তৃপক্ষ সূত্রের খবর, নিরাপত্তারক্ষীরা ওই যুবককে বলেন জায়গাটি জল দিয়ে ধুয়ে দিতে। রক্ষীদের আনা জল দিয়ে তা ধুয়ে দেন ওই যুবক। পরে তাঁকে দক্ষিণেশ্বর পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে যাওয়া হলে বকাবকি করে ছেড়ে দেওয়া হয়।