কপালে চন্দনের ফোঁটা ও যমের দুয়ারে কাঁটা দেওয়ার পর দাদা বা ভাইকে নতুন ধরনের মিষ্টি খাইয়ে চমক দিতে চান বোনেরা। ফলে ভাইফোঁটার আগে থেকেই নতুন মিষ্টির খোঁজ শুরু করে দেন বোনেরা। এই কারণেই ভাইফোঁটায় মিষ্টির চাহিদা থাকে তুঙ্গে। আর তাই মিষ্টির দোকানগুলিতে ভাইফোঁটার আগে নতুন মিষ্টি তৈরির জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন কারিগররা।
এ বছর দোকানে ভিড় কমাতে অভিনব পদ্ধতি নিয়েছেন দোকানদাররা। আগে থেকেই তাঁরা তৈরি করে রাখছেন ভাইফোঁটার থালা। দাম ৩০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা। থালায় রয়েছে খাজা, ভাইফোঁটা ছাপ সন্দেশ, গজা ও অন্যান্য মিষ্টি। এই থালার চাহিদাই সব থেকে বেশি। এছাড়া রয়েছে সাউথ ইন্ডিয়ান ফিলটার কফি মিষ্টি, ডাব সন্দেশ, নলেন গুড়ের সন্দেশ।
এক মিষ্টির দোকানের মালিক বলেন, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়লেও আমরা মিষ্টির দাম বাড়াইনি। তবে যেভাবে মিষ্টি তৈরির সামগ্রীর দাম বাড়ছে তাতে আগামীদিনে মিষ্টির দাম বাড়াতে আমরা বাধ্য হব। আমরা মিষ্টির নতুন ভ্যারাইটি রেখেছি। তার মধ্যে কেরালিয়া ফিলটার কফি মিষ্টি, শারলট, আঞ্জিলটাই চলছে বেশি। এদিকে ফিউশনের পাশাপাশি সাবেকি মিষ্টিও রেখেছি।
বাঙালির সুখী যৌথ পরিবারের ছবি এখন প্রায় হাতে গোনা হয়ে গিয়েছে। তবুও ভাইফোঁটার মত পার্বণে পরিবারের সকলের একজোট হওয়া , আর উৎসব আনন্দে মাতোয়ারা হওয়ার অনুভূতিই আলাদা। বেশির ভাগ বাঙালিরই দাবি, ভাইফোঁটার বিশেষ আকর্ষণ হল খাওয়া দাওয়া।
দুপুরে দিদি-দাদা-ভাই-বোনেদের সঙ্গে বসে কব্জি ডুবিয়ে ভেটকির পাতুরি, কাতলা মাছের কালিয়া, কষা কষা মুরগী-মটন খাওয়াই হোক কিংবা শেষপাতের মিষ্টি, এই পার্বণ ঘিরে বাঙালির উন্মাদনা চিরকালীন। তাই ভাইফোঁটার দিনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ কী, এ প্রশ্নের জবাবে বাঙালির ভোট কিন্তু শেষ অব্দি খাওয়া দাওয়ার দিকেই থাকে।