শারদোৎসব, দীপাবলি, ভাইফোঁটার পর এবার আরও এক উৎসবের তোড়জোর শুরু হুগলী জেলায়। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই জগদ্ধাত্রী পুজো। তাই দম ফেলার ফুরসত নেই চন্দননগরের পুজো উদ্যোক্তাদের। একে অপরকে টেক্কা দিতে গিয়ে, নাওয়া খাওয়া মাথায় উঠেছে পুজো উদ্যোক্তাদের।
চন্দননগরবাসীর প্রধান উৎসব জগদ্ধাত্রী পুজো। বছরের এই সময়টার জন্য এখানকার মানুষ সারাবছর অপেক্ষা করে থাকেন। দুর্গাপুজো নয়, নতুন জামাকাপড় তাঁরা জগদ্ধাত্রী পুজোর সময়ই ভাঙেন।
চন্দননগরের বিশেষ আকর্ষণ প্রতিমা ও আলোকসজ্জা। এসবের মধ্যেও আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে বিদেশি পর্যটকদের ভিড়। চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোয় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয়। এই সময় নবসাজে সেজে ওঠে গোটা চন্দননগর।
বাইরে থেকে ঠাকুর দেখতে এসে দর্শনার্থীরা যাতে কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হন, তার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত চন্দননগরের পুলিশ প্রশাসন। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে জানা গেছে, পুজো উদ্যোক্তারা কোনও ভাবেই রাস্তাজুড়ে প্যান্ডেল করতে পারবেন না। পথ চলতি মানুষের কোনও রকম অসুবিধে হলেই সেই পুজো কমিটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রতিটি প্যান্ডেলে সিসিটিভি ব্যবস্থা রাখতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে রাখতে হবে প্যান্ডেলে আগুন নেভানোর যন্ত্রও।
চন্দননগরের পাশাপাশি সিঙ্গুরেও বেশ কয়েকটি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। সেখানেও পুজোর প্রস্তুতিতে ব্যস্ত বিভিন্ন পুজো উদ্যোক্তারা। রিষড়াতেও প্রায় চল্লিশটার বেশি জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। ফলে পুজো কমিটিগুলির পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। ফলে উৎসবে মাততে প্রস্তুত গোটা হুগলী জেলার মানুষই।