এক শ্রেণীর বুদ্ধিজীবীদের ‘ঘেরাটোপ’ থেকে বের করে এনে কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (কেআইএফএফ)-কে বাঙালির ১২ মাসের ‘পার্বণ’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
হাতে আর মাত্র একদিন। এরপরেই শুরু হয়ে যাবে উৎসব। চলচ্চিত্রে ভাসবে গোটা শহর। ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে নন্দন চত্বর। বৃহস্পতিবার দেখা গেল নতুন রঙের আস্তরণ পড়ছে। পাশাপাশি স্ট্যান্ডি আর রঙিন পতাকা দিয়ে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে গোটা চত্বর। রবীন্দ্রসদনের একটা দেওয়াল জুড়ে বিশাল ফ্রেমে শোভা পাচ্ছে সত্যজিৎ রায় থেকে শুরু করে বার্গম্যান, গোদার, ত্রুফো, হিচকক প্রমুখ বিশ্ব সিনেমার উজ্জ্বল ব্যক্তিত্ব। এছাড়াও গোটা চত্বরজুড়েই ঝুলছে বিভিন্ন কালজয়ী ছবির পোস্টার।
আগামীকাল, ১০ নভেম্বর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে উদ্বোধন হতে চলা আন্তর্জাতিক এই চলচ্চিত্র উৎসব এবার ২৪ বছরে পদার্পণ করছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের দীপ-বালা হবেন অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। থাকবেন কলকাতা ও মুম্বাইয়ের বিশিষ্ট অতিথিরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশনে থাকছেন বিক্রম ঘোষ ও সহশিল্পীরা। পাশাপাশি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানেই প্রকাশিত হবে বাংলা সিনেমার ডিরেক্টরি। যেখানে থাকবে ১৯১৭ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত মুক্তি পাওয়া সমস্ত বাংলা ছবির বিশদ বিবরণ। এমন উদ্যোগ এই প্রথম।
কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এবারের অন্যতম আকর্ষণ— বাংলা সিনেমার ১০০ বছর। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগে চলচ্চিত্র উৎসবে শতবর্ষের বাংলা সিনেমার জন্য থাকছে আলাদা প্যাভেলিয়ন। আবার বাংলা সিনেমার মত ১০০ বছরে পড়ছে অস্ট্রেলিয়ান সিনেমাও। তাই এবারের থিম কান্ট্রি অস্ট্রেলিয়া। থাকবে সেখানকার ২৬টি সিনেমা। উৎসবে যোগ দিতে আসছেন ফিলিপ নয়েস, জিল বিলকক, সাইমন বেকার-সহ একটি অস্ট্রেলিয়ান ডেলিগেট টিম।
বাংলা সিনেমার ১০০ বছর পূর্তি উদযাপন উপলক্ষ্যে তৈরি হয়েছে একটি বিশেষ টিজারও। যা তৈরিতে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। টিজারটিতে আছে ১০০ বছরের কালজয়ী বিভিন্ন সিনেমার দৃশ্য এবং পোস্টার। সেই সঙ্গে রয়েছে বাংলা ছবির দীর্ঘ যাত্রাপথ নিয়ে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, মাধবী মুখোপাধ্যায়, গৌতম ঘোষ, প্রসেনজিৎ-সহ প্রমুখের বক্তব্যও। উৎসব চলছে ১৭ নভেম্বর অব্দি।