‘নোটবন্দীর প্রভাব থেকে মুক্ত হতে পারেনি দেশ। যত সময় যাচ্ছে ক্ষত প্রকট হচ্ছে’।নোটবন্দীর দুই বছর পূর্ণ হওয়ার দিনে মোদী সরকারের সিদ্ধান্তকে এভাবেই সমালোচনায় বিদ্ধ করলেন অর্থনীতিবিদ ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।
শুধু মনমোহন নন, নোটবন্দির দু’বছর পেরিয়ে সারা দেশ জুড়েই বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার বিদ্ধ হচ্ছে মোদী সরকার। নোটবন্দির সিদ্ধান্তকে ‘তুঘলকি ফরমান’ নাম দিয়েছে কংগ্রেস। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটারে এই দিনটিকে বলেছেন ‘কালো দিন’।
মনমোহন সিংহের মতে, ‘সময়ের সঙ্গে নোটবন্দির ক্ষত বেড়েই চলেছে। তা শুধু গড় জাতীয় উপাদন কমিয়ে দেওয়াতেই সীমাবদ্ধ নেই। মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোগীরা এখনও নোটবন্দির ধাক্কা সামলে উঠতে পারেননি। ভারতীয় অর্থনীতিতে নোটবন্দীর ধাক্কা প্রভাব ফেলছে কর্মসংস্থানের হারেও। ভারতীয় অর্থনীতিতে নোটবন্দির ধাক্কা কতটা, তা এখনও হিসেব করা যায়নি। মোদী সরকারের প্রতি মনমোহনের পরামর্শ, ‘ ভারতের মতো বিশাল দেশে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে যথেষ্ট প্রস্তুতি ও ভাবনা চিন্তা করার প্রয়োজন আছে। তা না হলে ফল ভুগতে হয় ভারতীয় অর্থনীতিকেই, আর ক্ষতিগ্রস্ত হন দেশের কোটি কোটি সাধারণ মানুষ’।
বিরোধীদের তীব্র সমালোচনার মুখে শেষ পর্যন্ত সরকারের হয়ে ব্যাট করতে নেমেছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। তাঁর সাফাই, ‘এর ফলে দেশের কর ব্যবস্থা আরও সুশৃঙ্খল হয়েছে’। নোটবন্দির মূল উদ্দেশ্য ছিল কালো টাকা উদ্ধার। আর সরকারের বাতিল করে দেওয়া টাকার ৯৯.৩ শতাংশ টাকাই ব্যাঙ্কে ফেরত আসায় আদতে কোনও কালো টাকা উদ্ধার করতে পারেনি সরকার। এই নিয়ে অবশ্য কোনও সাফাই দেননি জেটলি।