লোকসভা নির্বাচনের আগে রাজ্যের গেরুয়া শিবির ‘ওয়ার রুম’ খুলল মুকুল রায়ের এলগিন রোডের বাড়িতে। এমন ঘটনায় অসন্তুষ্ট খোদ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, ‘ভোলানাথ কি বরাত’। দলীয় কর্মীরাও বিরক্ত। তাঁদের অভিযোগ, লোকসভা নির্বাচনের আগে দলে মুকুল রায়ের গুরুত্ববৃদ্ধি, মানুষের কাছে বিজেপির ‘বিশ্বাসযোগ্যতা’ দুর্বল করবে। সব মিলিয়ে রাজ্য বিজেপিতে ফের গোষ্ঠী দ্বন্দ্ব লাগল বলে।
মুকুলের বিজেপিতে যোগ দেওয়ার সময়েই দলের একাংশ বিষয়টি ভাল চোখে দেখেনি। অভিযোগ ছিল, কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের হুকুম তামিল করে তাঁকে দলে নেওয়ায় দলীয় ভাবমূর্তির সঙ্গেই আপস করা হল। এরপর কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব মুকুলকে লোকসভা নির্বাচন কমিটির প্রধান করেছেন। এবার তাঁর বাড়িতেই খোলা হল লোকসভা নির্বাচনের ‘ওয়ার রুম’।
মুকুলের এই উত্থান ভালো চোখে দেখছে না বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। ফলে দলীয় কোন্দল লাগল বলে। মুকুল সম্পর্কে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘হিন্দিতে একটা কথা আছে, ভোলানাথ কা বরাত। নন্দী-ভৃঙ্গি সবাই থাকে সেখানে। রাজনীতিও তেমনই। নানা ভূতের সহাবস্থান। এই টুকুই বলব’।
রাজ্য বিজেপিতে মুকুলের এই উত্থানের কারণ রাজ্য দলের সংগঠক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের অনুপস্থিতি। সম্প্রতি দু’টি মামলায় ‘ফেঁসে’ গিয়ে দফতরে আসছেন না তিনি। রাজ্য বিজেপির একাংশের মতে, সুব্রতবাবুর অনুপস্থিতি মুকুলবাবুর অবস্থান শক্ত করেছে। পুজোর আগে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে তাঁর বাড়িতে দলের বৈঠক হয়েছে। আর পুজোর পরে ‘ওয়ার রুম’। আরএসএস ঘনিষ্ঠ সুব্রতবাবু থাকলে মুকুলবাবুর এই উত্থান হত না।
মুকুলের এই উত্থানে বিজেপির কতটা লাভ হবে? এই নিয়ে রাজ্য বিজেপির অন্দরেই ঘোরতর সংশয় আছে। তাঁদের কথায়, ‘স্ট্র্যাটেজি করে নির্বাচন জেতা যায় না। ভোট হয় মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি করে। মুকুলবাবুর সেই বিশ্বাসযোগ্যতা নেই’।