ভ্রাতৃ দ্বিতীয়ার দিন ফোঁটা দেওয়ার পাশাপাশি ভাইদের মিষ্টিমুখ করানোটাই দস্তুর। হরেক রকম মিষ্টি ছাড়া ভাইফোঁটার কথা ভাবাই যায় না। তাই ভাইয়ের মন জয় করতে প্রত্যেক দিদি ও বোন দোকানে গিয়ে নতুন ধরনের মিষ্টির খোঁজ করেন। এবার ভাইফোঁটার দিনে একগুচ্ছ নতুন মিষ্টির সম্ভার নিয়ে হাজির হুগলির দুই বিখ্যাত মিষ্টির দোকান ফেলু মোদক ও সূর্য মোদক।
রিষড়ার বাসতলায় বহু প্রাচীন ফেলু মোদকের মিষ্টির দোকানের সুনাম জেলা তথা ভিন জেলার মানুষের কাছেও রয়েছে। জানা গেছে, এ বছর দোকানের প্রাচীন দুই মালিকের তৈরি চিরাচরিত মিষ্টির পদগুলির পাশাপাশি ভাইফোঁটার স্পেশাল মিষ্টিগুলি গ্রাহকদের মুগ্ধ করবে।
দোকানের কর্ণধার অমিতাভ দে বলেন, আমাদের দোকানের প্রতি বছরই নতুন কিছু পাওয়া যাবে, মানুষ এটা প্রত্যাশা করেন। আমরাও বংশানুক্রমে মানুষের সেই চাহিদা পূরণের চেষ্টা করছি। এবার ভাইফোঁটায় আমরা সুগারফ্রি নীরা রাবড়ি করছি। প্রতি কেজির দাম ৪৫০ টাকা। থাকছে চকো ট্রাফেল সন্দেশ। চকলেট ও নাস দিয়ে তৈরি এই মিষ্টির প্রতি পিসের দাম ২০ টাকা।
তিনি আরও বলেন যে, বাটারস্কচ, কাজু, হোয়াইট চকলেট দিয়েও তৈরি করা হচ্ছে সন্দেশ। প্রতিটির দাম ২০ টাকা। এছাড়া নলেনগুড়, চকলেট, ম্যাঙ্গো দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে মোহিনী। ১৫, ২০ ও ২৫ টাকা প্রতিপিস দামে পাওয়া যাবে এই মিষ্টি। একই দামে পাওয়া যাবে ব্লুবেরি পাম্পসও। এই স্পেশাল মিষ্টিগুলি ছাড়াও পাওয়া যাবে আমাদের চিরাচরিত মিষ্টিগুলিও।
অন্যদিকে, হুগলির চন্দননগরের আর এক বিখ্যাত মিষ্টির দোকান সূর্য মোদকও ভাইফোঁটায় বেশ কয়েকটি নতুন মিষ্টি তৈরি করছে। দোকানের কর্ণধার শৈবাল মোদক বলেন, ক্রিম ও চকলেট দিয়ে প্লাস্টিকের কাপে তৈরি চকলেট মুজ এবার আমাদের দোকানে ভাইফোঁটার স্পেশাল মিষ্টির মধ্যে অন্যতম। প্রতিটি কাপের দাম ৫০ টাকা।
তিনি জানান, এছাড়াও রয়েছে ক্রিম, চকলেট সহ ৮টি বিভিন্ন উপাদান দিয়ে তৈরি অমৃত পাতুড়ি। পাতুড়ির মতোই কলাপাতায় মোড়া প্রতিটি মিষ্টির দাম ৩০ টাকা। ক্ষীর, পেস্তা ও অ্যামন্ড দেওয়া বড় সাইজের মহা রাজভোগ। প্রতিটির দাম ৪০ টাকা। তাছাড়া এবার আমরা জলভরার জায়গায় ক্ষীরভরা সন্দেশ করছি ভাইফোঁটার জন্য। প্রতিটির দাম পড়বে ৬০ টাকা।
সব মিলিয়ে বলা যায়, এ বছর ভাইফোঁটার দিনে একইসঙ্গে নলেনগুড়, চকলেট, বাটারস্কচ, আমের স্বাদ পেতে চলেছেন হুগলীর ভাইয়েরা। বাঙালির মিষ্টিমুখে এত বৈচিত্র আনতে পেরে আশাবাদী ফেলু মোদক ও সূর্য মোদকের কর্ণধারেরাও।