পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেছিল জুভেন্টাসের জার্সিতে। পল পগবা এখনো আছেন ইংলিশ ক্লাবটিতে। মাঝখানে চারটি বছর কাটিয়েছিলেন জন্মভূমি ইতালিতে; খেলেছেন জুভেন্টাসের হয়ে। আবারো তুরিনে ফিরছেন ফরাসি মিডফিল্ডার। কিন্তু ঘরের ছেলে হিসেবে নয়, জুভেন্টাসের শত্রুবেশে।
আজ পুরনো সতীর্থ ও বন্ধুদের বিপক্ষে মাঠে নামছেন পগবা। জুভেন্টাস-ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মহারণটার পারদ এত উঁচুতে ওঠার আরেকটা কারণ ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ উইঙ্গারের কুড়ি থেকে ফুল হয়ে ওঠা যে এই ম্যানইউর জার্সিতেই! ম্যাচটা রোনালদোর জন্যও তাই বিশেষকিছুর উপলক্ষ্য।
ধারণা করা হচ্ছে দুই ক্লাবের প্রাক্তন দুই ফুটবলারের ব্যক্তিগত নৈপু্ণ্য প্রদর্শনের লড়াইটি গড়ে দিতে পারে আজকের ম্যাচের ভাগ্য।
গ্রপপর্বের প্রথম তিন ম্যাচের সবকটিতেই জিতেছে জুভেন্টাস। যার একটি ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে। প্রথম লেগে ইংলিশ ক্লাবটিকে তাদেরই মাঠ ওল্ড ট্রাফোর্ডে ১-০ গোলে হারিয়েছিল জুভরা। ওই জয়ের পর নয় পয়েন্ট নিয়ে ‘এইচ’ গ্রুপের শীর্ষে উঠেছিলেন রোনালদো-কিয়েলিনিরা।
অন্যদিকে পগবা-মার্শিয়ালরা তিন ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছেন। নক আউট পর্বের পথ সুগম করতে আজ জুভেন্টাসের মাঠে জিততে হবে হোসে মরিনহোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে। কাজটা কঠিন। কারণ ইনজুরির কারণে এই ম্যাচে ম্যানইউ পাচ্ছে না তাদের স্ট্রাইকার রোমেলু লুকাকুকে।
রেড ডেভিলসদের আশা দেখাতে পারে পরিসংখ্যান। দুই দলের ১৩ বারের দেখায় ম্যানইউ ছয়বার জিতেছে এবং জুভেন্টাস পাঁচবার। চ্যাম্পিয়নস লিগে আজ রাতের সবচেয়ে বড় মহারণ এটাই।
ম্যানইউর বিপক্ষে জয় না পেলেও শেষ ষোলতে যাবে জুভেন্তাস। তবে হারা যাবে না, ড্র করলেও নিশ্চিত হবে শেষ ষোলো রাউন্ড। ‘এইচ’ গ্রুপে টানা তিন জয়ে পূর্ণ ৯ পয়েন্ট জুভিদের। তিন ম্যাচে একটি করে জয়, ড্র ও হারে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে ম্যানইউ। ২ পয়েন্টে রেড ডেভিলদের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে ভ্যালেন্সিয়া।