বিক্ষোভকারীদের তান্ডব আর হাঙ্গামা ঠেকাতে এবার রাজ্য পুলিশের হাতে এল নতুন লঙ্কা গ্রেনেড বা ক্যাপসি গ্রেনেড। রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, কোনও বড় ধরনের বিক্ষোভ বা পুলিশকে লক্ষ্য করে ধেয়ে আসা ইট-পাটকেলের মোকাবিলায় এবার থেকে এই ক্যাপসি গ্রেনেড ব্যবহার করা হবে। যাতে সহজেই উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করা যায়।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট নির্দেশ, বিক্ষোভ ঠেকাতে কোথাও যেন পুলিশ গুলি না চালায়। কারণ তাতে সাধারণ মানুষের প্রাণনাশের সম্ভাবনা থাকে। সেক্ষেত্রে ‘নন লেথাল ওয়েপন’ হওয়ায় এই ক্যাপসি গ্রেনেড ব্যবহারে মৃত্যুর সম্ভাবনা নেই।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বন্দুকের ব্যবহার এখন প্রায় নেই বললেই চলে। পরিবর্তে রাবার বুলেটের ব্যবহার বাড়ানো হয়েছে। তবে পরিস্থিতি একেবারে হাতের বাইরে চলে গেলেই তা ব্যবহার করা হয়। সেইসঙ্গে কাঁদানে গ্যাসও ব্যবহৃত হয়।
কিন্তু শরীরের এমন কিছু জায়গা রয়েছে, যেখানে রাবার বুলেট আঘাত করলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। আবার গ্যাসের হাত থেকে চোখ ও মুখ থেকে বাঁচাতে বিক্ষোভকারীরা অনেকেই ভিজে কাপড় বা রুমাল বেঁধে রাখেন। ফলে আন্দোলনকারীরা হিংসাত্মক হয়ে উঠলে সহজে তাঁদের সরানো যায় না।
জানা গেছে, সবচেয়ে ঝাল লঙ্কা গুঁড়ো করে, তার সঙ্গে থাকে চোখ বা শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়, এমন কিছু পদার্থ দিয়ে তৈরি করা হয় এই লঙ্কা গ্রেনেড। স্প্রে আকারে বা গ্রেনেড আকারে তা ব্যবহার করা যেতে পারে।
লোকসভা ভোটের আগে জেলায় জেলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি বাড়বে। এমনকী তা হিংসাত্মক রূপও নিতে পারে। তা মোকাবিলায় এমন কিছু অস্ত্রেরই খোঁজ করছিলেন পুলিশের বড় কর্তারা। যাতে কারওর মৃত্যু হবে না বা কেউ আহতও হবেন না। আবার সহজেই বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া যাবে।
এরপরই প্রশাসন ক্যাপসি গ্রেনেড কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। ইতিমধ্যেই সামান্য কিছু তাঁদের হাতে এসেছে। সামনে নির্বাচন এসে পড়ায় তা আরও বেশি পরিমাণে কেনা হবে বলে খবর।