ফের বিপ্লব-বাণী পেল দেশবাসী। হ্যাঁ, ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কথাই হচ্ছে। ঠিক ধরেছেন, নামটাই যথেষ্ট।
এবার ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব বললেন, ‘শিল্প আনার হ্যাপা অনেক। তার চেয়ে গোপালন অনেক সহজ। ছ’মাসেই নিশ্চিত লাভ। তাই শিল্পের চেয়ে গোয়াল ভালো’। এভাবেই দ্রুত রোজগারের সহজ পথ বাতলে দিয়েছেন মানিক সরকারকে সরিয়ে উত্তর-পূর্বের ছোট্ট রাজ্যের কুর্সিতে বসা বিপ্লববাবু।
ত্রিপুরা প্রদেশ কৃষক মোর্চা কমিটির বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। সেখানেই বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি শিল্পের বিরোধী নই। তবে তাতে ১০০০ কোটির বিনিয়োগ লাগে। প্রায় ২ হাজার কর্মী নিয়োগ করতে হয়। তার চেয়ে গো-পালন অনেক সহজ। ৫ হাজার পরিবারকে ১০ হাজার গরু কিনে দিলেই হল। রোজগার শুরু হবে ছ’মাসেই’। রাজ্যবাসীর স্বার্থে তাঁর সরকার বিশেষ গো-পালন প্রকল্প আনছে বলেও জানান বিপ্লব দেব। বলেন, ‘শীঘ্রই একটি প্রকল্প শুরু করছি আমরা। যার আওতায় রাজ্যের ৫ হাজার পরিবারকে গরু দেওয়া হবে। গরু কেনার জন্য ঋণও নিতে পারবেন তাঁরা। তাতে এত রোজগার হবে যে, ঋণ শোধ করতে কোনও অসুবিধা হবে না’।
নিজেও গো-পালনে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন বিপ্লব দেব। আগরতলায় তাঁর বাসভবনের পিছন দিকে একটি গোয়াল তৈরি করা হবে। তাতে রাখা হবে গরু। তাঁর গোটা পরিবার সেখানে উৎপাদিত দুধ খাবেন । যাতে তাঁদের দেখে ত্রিপুরার মানুষ উৎসাহ পান। অপুষ্টির বিরুদ্ধে লড়াইও সফল হয়। নব্বইয়ের দশকে লালুপ্রসাদের বাসভবনেও ছিল বিশাল গোশালা। তবে সে ছিল পারিবারিক অভ্যাস। রোজগারের এমন অভিনব উপায় এর আগে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে বের করতে দেখা যায়নি।
এর আগেও বিপ্লববাবু অসংখ্যবার সংবাদ শিরোনামে এসেছেন। ব্রিটিশ বিরোধিতায় রবীন্দ্রনাথকে দিয়ে নোবেল পুরস্কার বর্জন করিয়েছিলেন তিনি। মহাভারতের যুগে ইন্টারনেট সংযোগও পৌঁছে দিয়েছিলেন তিনিই। আবার তিনিই নিদান দিয়েছিলেন সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বসতে গেলে হতে হবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ার। ডায়না হেডেন যে বিশ্বসুন্দরী হওয়ার মতো সুন্দরী নন তাও মেপে দিয়েছিলেন তিনি। এ বার তাঁর নতুন তত্ত্ব, শিল্পের চেয়ে গোয়াল ভাল!