কালী পুজো থাকতে বাঙালিরা “ধন ত্রাস”, দেওয়ালি বা হ্যালোইন এর ধ্যাস্টামি করতে দেখলেই আসুন তাদের গন- চমকাই। পেচ্ছাপ করার সময় জুজু লেলিয়ে দিই, শ্যাওড়া গাছে ক্যাওড়া গান চালিয়ে দিই গাঁকগাঁক করে আর কাটাঁপুকুরের কংকাল দিয়ে সুড়সুড়ি দিই অমাবস্যায়।
আসুন হে বাঙালি! রাম কি কসম, কাজু বরফি, ঝুমকো দুল আর দিওয়ালি রিলিজ পাবলিক – এর মাহাত্ম্য বুঝবে না। আপনি দায়িত্ব নিন। রাম মানে তরল ও তা বোঝানোর। কালী শ্মশানে ও হয় জানানোর।
রাজমা চাউল খেয়ে কিছুতেই পাঁঠা আর গরম ভাত, কালীঘাটের প্রসাদীয় পেঁয়াজবিহীন আমিষের ঢেকুর উঠবে না। ম্যাক্সিমাম চোঁয়াড়ে ঢেকুর উঠবে। দেওয়ালি মানে ধুমধাড়াক্কা পটকা ফাটানো, ঘোমটার অল্প নাভি, ভক্তি বলতে গাভী আর ঘোমটাপরা শিফন শাড়ী। ওতে ছিন্নমস্তা কই?
বাঙালি বহুকাল আগে বুঝেছিল ফেমডম এর মানে। বেশির ভাগ পুরুষ যে কোন না কোন সময় তার নারীটির সাভমিসিব হয়ে থাকতে পছন্দ করে তার প্রতিচ্ছবি আমাদের পুজো। আমাদের নারী জাগরণ। ওদের পুজোতে এসব কই?
বঙ্গগরুর দল নির্জলা উপবাসরত বাঙালিদের ভূত চতুর্দশী বা কালীপুজো থাকতে দিওয়ালি ধামাকাতে লাফাচ্ছে। যেন ওরাই আসল হিন্দু আর আমরা ফেকলু৷
কোথায় গেলি সব, আয় খড়্গ তুলি, আয় বোতল খুলি, পাঁঠার ঝোল এ ডুব দিয়ে সোঁ করে রকেট এ উড়ে জবা ফুল হয়ে পরি মায়ের পায়ে। ওটাই আমার ধর্মপালন গো মা। একবারটি আদেশ দাও গো মা ওই গাম্বাটদের বুঝে নিই যারা ধর্ম ধর্ম খেলে মানুষ বলি দেয়।
যে গরুগুলো কথায় কথায় দাঙ্গার সুড়সুড়ি দেয়, যারা দেশ মানে বোঝে গো বলয় আর ভাষা বলতে হিন্দি, তাদের ধনে ত্রাস হই চলুন। গোনোরিয়ার জীবাণু ছেড়ে দিই চাড্ডির নিচে। আই শপথ আমি ও হিন্দু।
কালী আর রাম কি শালা তোর একার কে পাগল? তেরা দিওয়ালি, মেরা কালি- কলকত্তেওয়ালী। মাইন্ড ইট!
জয় মা!
( মতামত লেখকের ব্যক্তিগত )