আসামে কি ফিরে আসছে আটের দশক? আসামে ৫ বাঙালিকে গুলি করে খুনের ঘটনায় বাঙলা ভাষাভাষী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু মহলে উঠতে শুরু করেছে এমনই প্রশ্ন। অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগের রাজনীতির মাঝেই ফিরে এসেছে বাঙালিদের চেনা আতঙ্ক।
নাগরিকপঞ্জী আর নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে উত্তেজনা বাঙালি-অসমীয়াদের মধ্যে। সেই উত্তেজনাকে আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছিল বিভিন্ন অসমীয়া সংগঠনের প্রকাশ্য হুমকি। বৃহস্পতিবারের হত্যাকাণ্ড সেই হুমকিরই বাস্ত রূপ পেল। ফলে আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে। সরকার, রাজনৈতিক দল বা বিভিন্ন সংগঠন হত্যাকাণ্ডের নিন্দা করলেও আতঙ্ক কাটছে না। আসামের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং কড়া ব্যবস্থার কথা বললেও বাস্তবে কিন্তু রাজনৈতিক ক্ষমতা দখলের লড়াই-ই মুখ্য হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন। প্রশ্ন উঠছে, আলফা যদি খুন না করে তাহলে খুনের দায় কার? এর আগে কাউকে হত্যা করলে ঘটনার দায় স্বীকার করত আলফা। এমনকি পুজোর আগে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ঘটনার দায় স্বীকার করেছিলেন পরেশ বড়ুয়া। এবার উল্টোপথে হাটছেন তাঁরা। আর সেই রহস্যই ভীতির সঞ্চার করেছে আসামের বাঙালিদের মনে। উসকে দিচ্ছে নেলি থেকে শুরু করে বিভিন্ন গণহত্যার স্মৃতি।
তিনসুকিয়া আগেও দেখেছে ফৌজি পোশাক পরা সেনা আর জঙ্গীদের দৌরাত্ম্য। সেই দৃশ্যই আবার দেখছে মানুষ। ৫ জনের মৃত্যুর পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা পুলিশি ভাষায় ‘কঠোর’ করা হয়েছে। করা হয়েছে ক্ষতিপূরণের ঘোষণাও। কিন্তু আতঙ্ক কমেনি।