সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে প্রোফাইল পিকচারে কালো রঙ। মুখে কালো কাপড়। হাতে কালো পতাকা। বুকে কালো ব্যাচ। কালো কালিতে লেখা পোস্টার – সবেতেই প্রতিবাদের ভাষা – ধিক্কার।
নাগরিকপঞ্জীর জেরে আসামের ৫ বাঙালিকে হত্যা করে জঙ্গীরা। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তখনই টুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্রুত অপরাধীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়ার দাবি জানান তিনি। পাশাপাশি, শুক্রবার ঘটনার প্রতিবাদে শোক জ্ঞাপন করতে ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে দলীয় কর্মীদের প্রোফাইল ছবি ‘কালো’ করে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিজেও ফেসবুক, টুইটারের ছবি কালো করে দেন।
দলনেত্রীর নির্দেশ পাওয়া মাত্র তেল খাওয়া মেশিনের মসৃণতায় কয়েক মুহূর্তের মধ্যে হাজার-হাজার তৃণমূল কর্মী সমর্থক সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের প্রোফাইল ছবি কালো করে দেন। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে লক্ষ লক্ষ তৃণমূল কর্মীর প্রোফাইল ছবি কালো করে দেওয়া দেখে দলীয় শৃঙ্খলার প্রশংসা করছে ওয়াকিবহাল মহল।
আসামে বাঙালি খুনের প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ মিছিলের পোস্টারও কালো। মুখ্যমন্ত্রী মমতার নির্দেশেই রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ মিছিল করে তৃণমূল। যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড থেকে হাজরা পর্যন্ত মিছিল করে তৃণমূল। ‘বিজেপি হটাও দেশ বাঁচাও’ আওয়াজ তোলেন অভিষেক। তাঁর দাবি, ‘আলফা বলছে তারা ঘটনার সঙ্গে জড়িত নয়। তাহলে ৫ নিরাপরাধ বাঙালিকে কারা খুন করল, তা সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণে তদন্ত হোক। পুলিশের পোশাকে কারা খুন করল, তা সঠিক তদন্তে উঠে আসুক। মিছিলে হাজার হাজার কর্মী সমর্থকের সঙ্গে অভিষেক ছাড়াও পা মেলান ডেরেক ও’ব্রায়েন, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র, দেবাশিস কুমার প্রমুখ।