বাজারে বাজিও আছে, মানুষের ভিড়ও আছে। শুধু বিক্রিই নেই। এমনই হাল চম্পাহাটির। কালীপুজোর দিন যত এগিয়ে আসছে, চম্পাহাটির হাড়ালে আতসবাজির মেলায় লোকসমাগম ততই বাড়ছে। তবে সেই তুলনায় বিক্রি বাড়ছেনা সিকি ভাগও।
হাড়ালের মোড় থেকে কয়েক পা হাঁটার পর নজরে পড়ল মানুষের ভিড়। বাজার ধরার জন্য এবার রাস্তার দু’পাশে যেখানে যত ফাঁকা জায়গা ছিল সেখানে সার সার পাকা দোকান তৈরি হয়েছে। সেই সব দোকানে সাজানো গোছানো রকমারি আতসবাজি ঠাসা। কোথাও ফাঁকা জায়গা নেই। এর পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে বেড়েছে অস্থায়ী বাঁশ ও কাপড় দিয়ে তৈরি দোকানের সংখ্যাও। তবে মেলায় দোকানের বহর ও পসরার পাশাপাশি ভিড় বাড়লেও বিক্রি আশানুরূপ নয়। এমনই দাবি খোদ বাজি বিক্রেতাদের।
হাড়ালের এক বাসিন্দা জানান, বাবা-র হাত ধরে স্কুলে পড়ার সময়ই বাজি তৈরি শিখেছেন তিনি। এবার ১৪ হাজার টাকা দিয়ে মেলায় অস্থায়ী কাঠামোর একটি ঘরও ভাড়া নিয়েছেন। মশলা কিনে আলোর বাজিও তৈরি করেছেন। কালীপুজোর আর পাঁচদিন বাকি। লোকজন আসছে ঠিকই, কিন্তু আশানুরূপ বিক্রি নেই।
একই কথাই বললেন চম্পাহাটি হাড়াল আতসবাজি ব্যবসায়ী সমিতির মুখপাত্র শংকর মণ্ডল। তাঁর কথায়, গতবার এই সময় যতটা বিক্রি হয়েছিল, তার ধারেকাছে যায়নি। সমিতির এক সদস্যর ছেলে প্রতিবারের মতো এবার দোকান দিয়েছে। শুধু তাই নয়, তাঁর স্ত্রী ও শ্বশুরমশাই আলাদাভাবে আলাদাভাবে দোকান ভাড়া নিয়েছেন। সকলেরই মাথায় হাত।
প্রতিষ্ঠিত আতসবাজি ব্যবসায়ীদের একজন জানান, বাজার এখনও সেভাবে জমেনি। কয়েক লাখ টাকা কারবারে ঢালা হয়েছে। তুলনায় লাভের টাকা দূর মূলধনের একাংশও আসেনি। একই সুর চম্পাহাটির বাকি বাসিন্দাদের গলায়। ফলে মাথায় হাত পড়ে গেছে বাজি ব্যবসায়ীদের।