অতীত ভুলে এবার একসঙ্গে লড়াইয়ের ময়দানে নামতে চলেছে টিডিপি ও কংগ্রেস। আসন্ন তেলেঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনে এবার রাজনৈতিক ‘বাধ্যবাধকতার’ জন্যই একই ছাতার তলায় আসছে দুই দল। পাশাপাশি ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে মহাজোট গঠনেও একধাপ এগলো দুই দল। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
বৃহস্পতিবার দিল্লিতে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন টিডিপি প্রধান চন্দ্রবাবু নাইডু। কংগ্রসে সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি বলেন, গণতন্ত্রের বাধ্যবাধকতার জন্যই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একসঙ্গে লড়াই করতে হচ্ছে। দুই দলের অতীত সম্পর্ক এখন মূল্যহীন। বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই এখন প্রধান বিষয়।
রাহুলের বাড়িতে অনেক দলের নেতাই দেখা করতে যান। কিন্তু কোনও নেতাকে নিয়ে বাড়ির বাইরে হেঁটে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হওয়ার ঘটনা বেনজির। রাহুল আজ সেটাই করলেন চন্দ্রবাবুকে নিয়ে। যে চন্দ্রবাবুর শ্বশুরমশাই এন টি রাম রাও কংগ্রেসকে হারাতেই নতুন দল গড়েছিলেন। আর তাঁর পথ ধরে যে চন্দ্রবাবু বহু দিন ধরে রাজ্যে কংগ্রেস-বিরোধী রাজনীতি করছেন। সেই তেলুগু দেশম নেতাকে নিয়েই আজ বাড়ি থেকে বেরোলেন কংগ্রেস সভাপতি। দু’জনে মানলেন, ‘অতীত’ রয়েছে বটে। কিন্তু এখন বর্তমান আর ভবিষ্যতের জন্য কাজ করবেন।
রাহুলের সঙ্গে বৈঠকের পরে চন্দ্রবাবু সাংবাদিকদের বলেন, ‘কংগ্রেসই প্রধান বিরোধী দল। তবে অন্য বিরোধী দলগুলিরও গুরুত্ব রয়েছে। দেশের প্রধান বিরোধী দলের নেতা হিসেবে রাহুল গাঁধীকে অনুরোধ করেছি বাকিদের সঙ্গেও কথা বলতে। বিজেপিকে হারাতে সকলে মিলে একটি অভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হবে’।
গত নভেম্বরেই এনডিএ ছাড়েন চন্দ্রবাবু নাইডুর তেলুগু দেশম পার্টি। সম্প্রতি তাঁকে ইউপিএতে যোগ দেওয়ার আহ্বানও জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা বীরাপ্পা মৈলি। এনডিএ ছাড়ার পর রাহুলের সঙ্গে এটাই তাঁর প্রথম বৈঠক। এর আগে কর্ণাটকে কুমারস্বামীর শপথের দিনে তাঁদের দেখা হয়। তবে কোনও কথা হয়নি।
উল্লেখ্য, টিডিপির সঙ্গে কংগ্রেসের সম্পর্ক বরাবরই তিক্ত। ১৯৯০ সালে তিনি রাজ্যে বামেদের সঙ্গে জোট করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়েছিলেন। ১৯৯৯, ২০০৪ ও ২০১৪ সালে তিনি ছিলেন বিজেপির সঙ্গে। ২০০৯ সালে তিনি তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির সঙ্গে জোট করে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করেন। সেই দল এখন কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বাঁধার পরিকল্পনা করছে।