‘ইতিহাসকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।’ আসাম সীমান্ত লাগোয়া কোচবিহারের সভা থেকে ভাগাভাগির রাজনীতির বিরুদ্ধে এই ভাবেই সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলার মাটি যে সাম্প্রদায়িক ভাগাভাগি বরদাস্ত করবে না এদিনের সভা থেকে সেই বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা বলেন, ‘কোচবিহারের মানুষ হিন্দু, মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান সবাই মিলে রাসমেলা থেকে সব অনুষ্ঠান পালন করেন। কোচবিহারের রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ইতিহাস, লড়াই করার ইতিহাস, সংহতির ইতিহাস আছে। তা জানবার চেষ্টা করতে হবে। জানলে বোঝা যাবে সংহতি কাকে বলে। আর এই জন্যই বাংলার মাটি কোনও দিন ভাগাভাগিকে প্রশ্রয় দেয়নি। বাংলার মাটি রবীন্দ্রনাথ, নজরুল ইসলাম, স্বামী বিবেকানন্দ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মাটি। যাঁরা কোনও দিন ভাগাভাগি করেননি। বাংলায় আম্বেদকর, গান্ধীজি এসেছেন’।
১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার দিন গান্ধীজি ছিলেন কলকাতাতেই। সেই প্রসঙ্গ উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার সকালে গান্ধী বেলেঘাটায় গান্ধী ভবনে ছিলেন। হিন্দু–মুসলমান মারামারি যাতে না হয় সেজন্য তিনি সেখানে ছিলেন’। এসব ইতিহাস মনে রাখার আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী। রাজনৈতিক মহলের মতে, এনআরসি-র জন্য বাংলার আসাম সীমানা লাগোয়া কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারের অনেক মানুষ অসুবিধেয় পড়েছেন। অনেকেরই অসমে জমি-বাড়ি আছে। সেই সব সম্পত্তিও এখন সঙ্কটে। অনেকে আসামে মেয়ের বিয়ে দিয়ে সমস্যায় পড়েছেন। সে সব কথা মাথায় রেখেই এদিন ভাগাভাগির প্রসঙ্গ উত্থাপন করে সম্প্রীতির বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।