উন্নয়নে এগোয় রাজ্য, বিক্ষোভে বহুদূর। এতদিনে এই সারসত্যটুকু বুঝে গিয়েছেন ভাঙড়ের মানুষ। তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উন্নয়নের জোয়ারেই থেমে গিয়েছে বিক্ষোভের নামে চলা সন্ত্রাস। উঠেছে পুলিশি পাহারাও।
পুজোর ছুটি মিটতেই ভাঙড়ের বিদ্যুৎ সাব স্টেশনের বাইরে টাওয়ারের জন্য খুঁটি পোঁতার কাজ জোরকদমে শুরু হয়ে গেছে। এবং সেই কাজ এগিয়ে চলছে শান্তিপূর্ণভাবেই। এতদিন সাব স্টেশনের ভেতরে যন্ত্রপাতি মেরামতির কাজ চলছিল। সেই কাজও শেষ পর্যায়ে।
বেশ কয়েক দিন হল সাব স্টেশনের পেছন দিকে ধানের খেতে মাটি কেটে খুঁটি বসানোর জন্য সিমেন্টের পিলার তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। শ্রমিকেরা নির্বিঘ্নেই কাজ করে চলেছেন। তাঁদের সঙ্গে আছেন ইঞ্জিনিয়াররাও। পুজোর মধ্যেই গ্রিডের তরফে কাঁচামালের জোগান রাখা হয়েছিল। পুজো শেষ হতেই তাই সাব স্টেশনের জন্য খুঁটি পোঁতার কাজ শুরু করে দিয়েছে তারা।
মাছিভাঙা–সহ কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে টানা হবে ৪০০ কেভি–র লাইন। মাটির নীচ দিয়ে টানা হবে ২২০ কেভি–র লাইন। দু’মাস ধরে ভাঙড়ের বিদ্যুৎ সাব স্টেশনের ভেতরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মেরামতির কাজ চলেছে। কয়েকটি পুরনো মেশিন পাল্টে নতুন মেশিন বসানো হচ্ছে।
সাব স্টেশন সূত্রে খবর, প্রথমে ৩টি খুঁটি পোঁতার কাজ শুরু করা হচ্ছে। পরে আরও ১টি খুঁটি পোঁতা এবং ১টি পুরনো খুঁটিকে মেরামতের কাজ করা হবে। তারপরেই সাব স্টেশনের বাইরের কাজ শেষ হবে। মোটামুটি গোটা কাজ শেষ করতে ৩ মাসের মতো সময় লাগবে বলে অনুমান। জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক মৃণাল রানো জানান, যত দ্রুত সম্ভব কাজ শেষ করে ওই বিদ্যুৎ সাব স্টেশনকে চালু করার চেষ্টা হচ্ছে।
মাছিভাঙা, খামারাইট–সহ পরপর কয়েকটি গ্রামের ওপর দিয়ে ৪টি খুঁটি পোঁতার কাজ শেষ হলেই ‘রাজারহাট–ভাঙড় বিদ্যুৎ সাবস্টেশন’ পুরোদমে কাজ শুরু করবে। আর তাতেই আলোকোজ্জ্বল হয়ে উঠবে ভাঙড় ও রাজারহাট–সহ বেশ কয়েকটি এলাকা।