রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট ক্ষমতা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের হাতে দেওয়া হয়নি বলে কেন্দ্রকে বিঁধেছিলেন গভর্নর উর্জিত পটেল। এ বার শীর্ষ ব্যাঙ্ককে স্বাধীনতা দেওয়ার পক্ষে জোরালো সওয়াল করতে গিয়ে কার্যত কেন্দ্রকে এক হাত নিলেন ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্যও। স্পষ্ট বললেন, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের স্বাধীনতাকে হেয় করা যে কোনও সরকারের পক্ষে নিজের গোলে বল ঢোকানোর সামিল’।
লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম শিথিল করতে আরবিআই-কে চাপ দিচ্ছে কেন্দ্র। সেই প্রেক্ষিতেই মুখ খোলেন আরবিআই-এর ডেপুটি গভর্নর বিরল আচার্য। তারপর কেন্দ্রের মোদী সরকারকে চাঁচাছোলা ভাষায় সতর্ক বিরলের দাবি, ‘বুদ্ধিমান রাজনীতিকেরা শীর্ষ ব্যাঙ্ককে স্বাধীনতা দেন। কারণ, তাতে অর্থনীতির স্বাস্থ্য ভাল থাকে। যার সুফল তোলা যায় ব্যালট বাক্সে।’ ডেপুটি গভর্নরের আশঙ্কা, ‘কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কের স্বাধীনতাকে খর্ব করা হলে তার প্রভাব অত্যন্ত ক্ষতিকারক এবং ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। সরকার অর্থনীতিতে যে হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা করছে তার ফলে বিনিয়োগের বাজারে নির্ভরতার ক্ষেত্রে সঙ্কট ঘনাতে পারে।’
বিরলের পাশেই ছিলেন তাঁর সহকর্মী, অন্য তিন ডেপুটি গভর্নরও। নিজের দপ্তরের ঐক্য বোঝাতে বিরল বলেন, তাঁর বক্তব্য তৈরি করতে পরামর্শ দিয়েছেন আরবিআই–এর গভর্নর নিজে। রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সঙ্গে কেন্দ্রীয় সরকারের চাপা সংঘাতের মধ্যেই মুম্বইয়ে এক বক্তৃতায় সরকারে বিরুদ্ধে তোপ দেগে দেন বিরল। এনিয়ে জোর জলঘোলা শুরু হয়েছে। নীরব মোদীর দুর্ণীতি নিয়ে অরুণ জেলটির মন্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিরল। জেটলি সে সময় মন্তব্য করেন, দুর্ণীতির জন্য রাজনীতিবিদদেরই দায়ী করা হয়, ব্যাঙ্কগুলিকে নয় কেন? বিরল জেটলির সেই মন্তব্যকে বিঁধে বলেন, ‘সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সরকার এখন টি ২০ খেলছে। কারণ প্রায়ই কোনও না কোনও নির্বাচন থাকে। কিন্তু রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে টেস্ট ম্যাচ খলতে হয় ভবিষ্যের চ্যালেঞ্জের কথা ভেবে’।